|

নান্দাইলের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব রেকর্ড গড়তে চায়

প্রকাশিতঃ ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ১৪, ২০১৮

নান্দাইল প্রতিনিধিঃ  দুর্ঘটনা প্রবণ সড়ক হিসেবে পরিচিত ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক। এ মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বার্তা দিতে প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কজুড়ে আলপনা আঁকা শুরু করেছে নান্দাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা আঁকার এ উৎসব। এদিন সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন। স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাফিজুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ এ আলপনা আঁকার মাধ্যমে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠিয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়তে চান। একই রকম প্রত্যাশার কথা জানান স্থানীয় নান্দাইল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকও।
বাংলানিউজকে এ প্রধান শিক্ষক জানান, ঈদের মতো বাংলা নববর্ষ বাঙালির জীবনে আনন্দ উৎসবের অন্যতম একটি দিনে পরিণত হয়েছে। নববর্ষকে উপলক্ষ করে ব্যস্ততম কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়কে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমরা আলপনা আঁকার মহাযজ্ঞ শুরু করেছি।
তিনি জানান, এ সড়কের ঘোষপালা আমলিতলা থেকে ঝালুয়া বাজার পর্যন্ত মনের মাধুরি মিশিয়ে আলপনা আঁকছে শিক্ষার্থীরা। সাত সকাল থেকেই আমাদের এ আলপনা আঁকার উৎসব শুরু হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রায় ৬শ’ শিক্ষার্থী ৪০টি গ্রুপে আলপনা আঁকার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে রয়েছেন ১৫ জন করে শিক্ষার্থী। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলপনা এঁকে আমরা বিশ্ব রেকর্ড গড়তে চাই।
নান্দা্ইল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির দু’শিক্ষার্থী দীপান্বীতা দীপ বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বে আর কোথাও চার কিলোমিটার সড়কজুড়ে আলপনা আঁকার রেকর্ড নেই। আমরা এ রেকর্ডে নিজেদের শামিল করেছি। মনের আনন্দে আলপনা আঁকছি।
মহাআনন্দের সঙ্গে আলপনা আঁকার কর্মযজ্ঞে অংশ নেয়া আরেক শিক্ষার্থী ও ফারিয়া আফরিন বলেন, আবহমানকাল ধরেই বাঙালির ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ। এ উৎসবে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে আমরা ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন বাংলানিউজকে বলেন, সড়ক-মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম আলপনা আঁকার মধ্যে দিয়ে আমরা সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছি। এর মাধ্যমে বিশ্ব মানচিত্রে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে থাকবে আমার প্রাণের নান্দাইলের নাম।

Print Friendly, PDF & Email