|

রক্তই হোক আত্মার বাঁধন

প্রকাশিতঃ ৬:৪৩ অপরাহ্ণ | জুন ১৩, ২০১৮

মিসবাহ হাবিবুল্লাহ জিহাদী: রক্ত দেওয়া পেশা নয়-নেশা। রক্তনিন-রক্তদিন। জীবন বাঁচাতে রক্ত। এ স্লোগানকে সামনে রেখেই স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছে দেশের অন্য সংগঠনের মত ভালুকার ঐতিহ্যবাহী মানবিক সংগঠন -অভ্যুদয়। মানুষের জন্য ত্যাগ মানবধর্মের চিরন্তর বৈশিষ্ট্য।  মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য। এ কথায় বিশ্বাসী হয়ে অকাতরে ত্যাগ স্বীকার করে যাচ্ছে মানুৃষ। আর হাদিসের ভাষায় -মানবসেবার মধ্য দিয়েই স্রষ্টাকে সেবা করা হয়। মানুষকে ভালোবাসলে আল্লাহকে ভালোবাসা হয়।মানুষকে বাঁচাতে রক্তদান করা একটি মহৎ কাজ। তাই আসুন নিজে রক্তদান করি আর অন্যকে উৎহাহিত করি। মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে যেমন প্রয়োজন বাতাসের। তেমনি প্রয়োজন রক্তের। কারন,রক্ত ,প্রতি মানবদেহের অপরিহার্য উপাদান।চিকিৎসা বিঙানের প্রকৃত উন্নতি হলেও কৃত্রিমভাবে রক্তের প্রয়োজন পূরন করা সম্ভব হয়নি-। তাই মানুষকে বাঁচাতে মানুষকেই রক্ত দিতে হয়। রক্তদানের ফলে একজন মুমূষু রোগী জীবন ফিরে পায়। কিন্তু রক্তদাতার কোন ক্ষতি হয়না। বরং তিনি এক মহৎ কাজে অংশগ্রহনের সৌভাগ্য অর্জন করতে থাকেন। রক্তদান মানবসমাজের মহৎ কর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম। রক্তদান দেশ ও জাতির জন্য কল্যান বয়ে আনে। এ যুগে সামাজিক আন্দোলনে পরিনত হয়েছে রক্তদান। রক্তদান একটি সেবামূলক মহৎ কাজ। আর এই কাজটি বর্তমানে ভালুকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অভ্যুদয়েরর ব্যানারে কিছু সখ্যক তরুন-তরুনী এগিয়ে আসছেন।

এবং মানুষকে আলোচনা,সভা,সেমিনার ইত্যাদির মাধ্যমে সচেতন ও অবহিত করছেন।

রক্তদানের উপকারীতা-

১,প্রতি চারমাসে একবার রক্তদিলে দেহে নতুন Blood cell সৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।

২,শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।

৩,রক্তদানে হৃদরোগ,রক্তশুন্যতা ও অনান্য রোগের ঝুকি কমে যায়।

৪,রক্তদানে শরীর ভালো ও সু্স্হ্য থাকে।

৫,রক্তদানে একটি জীবন বাঁচে,

যা পৃথিবীর সর্বোচ্চ সেবার অন্তর্ভুক্ত।

৬,রক্তদানে ধর্মীয় কোনো বিধিনিষেধ নেই।

৭,রক্তদানের পর পানি ব্যতিত অন্য কোনো দামি খাবারের প্রয়োজন নেই।

রক্তদানের যোগ্যতা-

১,বয়স ১৮থেকে ৫৫ বছরের সুস্হ্য নর-নারী।

২,ওজন-পুরুষ ৪৭ কেজি,

মহিলা ৪৫কেজি।

৩,রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে হবে।

৪,রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান ৭৫/ বা তার বেশি।

৫,৬মাসের মধ্যে বড় ধরনের কোন অপারেশন না হলে।

৬,চার মাসের মধ্যে অন্য কোথাও রক্ত দিয়ে না থাকলে।

৭,রক্তে প্রবাহিত জটিল রোগ না থাকলে।

৮,মহিলা গর্ভবতী বা মাসিক অবস্হায় না থাকলে।

৯,বিষেশ ধরনের কোনো ঔষধ ব্যবহার না করলে। আমাদের দেশে সরকারী ব্লাড ব্যাংক আছে ৩০টি। আর বেসরকারি আছে ৫০টির মত। যেখান থেকে রোগিদের সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। সুস্হ্য ও স্বাভাবিক জীবনের অধিকারী ব্যক্তিদের স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসা উচিৎ। প্রতিদিন নতুন রক্ত তৈরি হয় আর পুরোনা রক্ত অকেজো হয়ে পরে। আমাদের টেনশনের কিছু নেই রক্ত দিলেও আবার নতুন রক্ত পাচ্ছি।

সুতরাং এসো হে বন্ধু নিজে রক্ত দেয় ও অন্য কে রক্ত দিতে উৎসাহিত করি। আর রক্তই হোক আত্মার বাঁধন। সকলকে বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের শুভেচ্ছা।

Print Friendly, PDF & Email