|

স্যালুট জানাই একজন খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে

প্রকাশিতঃ ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ | জুলাই ১৯, ২০১৮

আবুল বাশার নুরু:

অাওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা যেদিন গ্রেফতার করা হলো সেদিনের স্মৃতি মনে পড়ছে। অাদালতে দাঁড়িয়ে জিল্লুর রহমানকে অাওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঘোষণা করলেন শেখ হাসিনা। অামি ছুটে এলাম জিল্লুর রহমানের বাসায়। খবরটি জানালাম। এর অাগেই তিনি খবর পেয়েছিলেন। জিল্লুর রহমান বললেন, এই মামলায় নেত্রীর কিছুই হবে না। জিল্লুর রহমানের বাসার সামনে ততক্ষণে সাদা পোষাকের পুলিশ হাজির হয়েছে। এর মধ্যে সেখানে এলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তখন দলে তার কোনও পদ নেই। গণমাধ্যমের অনেকেই জিল্লুর রহমানের বাসায় এলেন। সবাই জিল্লুর রহমানের বক্তব্য চাচ্ছে। তিনি কথা বলবেন জানানো হলো। জিল্লুর রহমান অপেক্ষা করছিলেন অাওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ এলে কথা বলবেন। কিন্তু কেউ এলেন না। জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের সামনে বসলেন। কিন্তু পাশে কেউ নেই। তিনি বক্তব্য শুরুর অাগে খালিদ মাহমুদকে তার পাশে বসতে বললেন। খালিদ মাহমুদ বসলেন জিল্লুর রহমানের পাশে। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের নিন্দা জানালেন অাওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
ঘটনা-২
শেখ হাসিনাকে অাওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে মাইনাসের ফর্মুলা দিয়ে সংস্কার প্রস্তাব পেশ করলেন দলটির শীর্ষ চার নেতা। সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিল। অনেকে সংস্কারপন্থী নেতাদের বাসায় ভিড় করতে লাগলেন। সার্বিক পরিস্থিতি অনেকটা ঘোলাটে। শেখ হাসিনাকে তখন ধানমন্ডি সুধা সদনে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। এমন সময় শেখ হাসিনাকে দলীয় সভাপতির পদে রেখে পাল্টা সংস্কার প্রস্তাব দিলেন অাওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য প্রয়াত অাতাউর রহমান খান কায়সার। সুধা সদনের একটু দূরে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে তিনি এই প্রস্তাব পেশ করেন। তার পাশে ছিলেন মাত্র একজন। তিনি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। শেখ হাসিনার মুক্তির অান্দোলনে দিনরাত কাজ করেছিলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবসে স্যালুট জানাই খালিদ মাহমুদকে। গভীর শ্রদ্ধা জানাই প্রয়াত জিল্লুর রহমান, অাতাউর রহমান কায়সারকে।

(লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক: সিনিয়ার সাংবাদিক

Print Friendly, PDF & Email