|

ময়মনসিংহ মহানগর আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশিতঃ ৭:৫৪ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্ট, ভালুকার খবর: অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে ময়মনসিংহ মহানগর আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নিলো কোতোয়ালী থানা পুলিশ। ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগ সদস্য আজাদ শেখ হত্যাকাণ্ডের এক মাস পর এই মামলা নিলো পুলিশ। শুক্রবার রাতে আজাদ শেখের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার দিলু মামলাটি দায়ের করেন। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলবে।

এ মামলায় ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব মতিউর রহমানের ছেলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়।

এ ব্যাপারে ধর্মমন্ত্রীর ছেলে মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাটি করা হয়েছে। এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্র। আমাকে ও আমার পিতাসহ আমাদের রাজনৈতিক পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন করতেই একটি বিশেষ মহল এতে ইন্ধন যোগাচ্ছে।

মামলার বাদি দিলরুবা আক্তার দিলু বলেন, মোহিত উর রহমান শান্ত আমার স্বামীকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দিতো। এরপর ৩১ জুলাই বেলা আড়াইটার দিকে তাদের নির্দেশে আসামিরা পিস্তল, কাঁটা বন্দুক, চাপাতি, রাম দা, ছোড়া ও হকিস্টিকসহ নানা অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে আক্রমণ করে এবং আমার স্বামীকে গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় আজাদ শেখ প্রাণ রক্ষার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নাজিরবাড়ি মসজিদের কাছে পৌঁছামাত্র আসামি মিলন ও নুরুল পিস্তুল দিয়ে গুলি করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় জুবলি কোয়ার্টার বিহারি ক্যাম্পের উল্টো দিকে গলির ভিতরে নিয়ে ফরিদ, হাকিম, সাত্তার, আব্দুল কাদের, রাজিব, রকি, ফজলু, রতন, শ্রাবণ ও মেহেদির সহযোগিতায় আসামী মিলন গলা কেটে হত্যা করে। এরপর আসামি নুরুল, রানা ও ফরহাদ আমার স্বামীর বুকে চাপাতি ও ডেগার চালিয়ে তার কলিজা ও ফুসফুস বের করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার দুই দিন পর গত ২ আগস্ট কোতোয়ালী মডেল থানায় ধর্মমন্ত্রী পুত্র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ করা হলে তা এজাহারভুক্ত করা হয়নি। পরে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী আফিল উদ্দিন। হাইকোর্ট ৩০ আগস্ট হাইকোর্ট আজাদ শেখ হত্যার অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

Print Friendly, PDF & Email