|

নারী জন্মানো মাত্রই সম্পদ

প্রকাশিতঃ ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ | অক্টোবর ১৫, ২০১৮

নারী জন্মানো মাত্রই সম্পদ।
মিসবাহ হাবিবুল্লাহ জিহাদী

মানুষের মনজগৎ আজ নীতি বর্জিত।
তাদের মন আজ অপবিত্রতায় মোহাচ্ছন্ন।
সর্বদাই বাহ্যিক আকর্ষনে মগ্ন।
বর্তমান সমাজ ভালোবাসার নীতি সূত্রটির বাহির সাইটের প্রতিধাবিত।
নারীররুপ স্হায়ী নয় তার নৈতিক গুনাবলী স্হায়ী।
নারীর দেহ হতে রুপ-যৌবন বিদায় নিলেও তার গুনাবলী বিদায় নেয়না।
আমৃত্যুকাল পর্যন্ত তা বিদ্যমান থাকে।
নারী প্রকৃত মর্যাদাও তখন পায়।
বর্তমান সমাজের বিনোদনের প্রধান উপকরণ হচ্ছে নারী।
নারী আজ সেরা ভোগ্যপণ্যে পরিনত হয়েছে।
অথচ সমাজে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে নারী।
পুরুষ সম্পদের অধিকারী হয় তখন-
যখন রানী সে কার্যক্ষম হয়।
কিন্ত- নারী জন্মানো মাত্রই সম্পদ।
তবে
এই সম্পদের পূর্ণ অধিকারী তখন, যখন মাতৃত্বের পরিচয় দিতে পারে।
নারীর একটি স্বভাব সে বাইরের চাকচিক্য মদ্যতায় প্রতিধাবিত।
এটা তার নারীত্বের জন্য বড়ই ক্ষতি ও অবমাননাকর।
সুন্দরী নারী পরিবারের সমাজের ও জাতির সম্পদ।
নারীর রুপ-সৌন্দর্য তার অহংকার।
তবে এ অহংকার হবে অহিংসুক।
নারীর সৌন্দর্য তার অপার্থিব সম্পদ।
এই মহা মুল্যবান সম্পদের পবিত্রতা রক্ষা করার দায়িত্ব তার নিজের।
সৌন্দর্যকে ঘিরে অনেক গুনাবলীর সমাবেশ ঘটে থাকে নারীর মধ্যে।
তা জলান্জলী দিলে তার নারীত্বেরই সর্বনাস হয়।
এই গুনাবলী যে নারীর মধ্যে যত বেশি।
সেই নারীর দাম্পত্য জীবনে ততো সুখি।
আবেগ জীবনের সকল ক্ষেত্রেই শত্রু।
মিত্র শুধু এক জায়গায়।
আবেগ জীবনের সকল ক্ষেত্রেই পরাজয় বরণ করে।
জয়ী হয় শুধু ভালোবাসার ক্ষেত্রে।
ভালোবাসার দুর্নিবার গতিতে যখন সাফল্য আসে,পাওয়ার আকাঙা যখন মিটে যায়।
তখনি শুরু হয় অবমূল্যায়নের নিদারুণ যন্ত্রনা।
এই অবমূল্যায়নটা ভালোবাসার দাম্পত্য জীবনেই বেশি হয়।
পরিশেষ কথা হলো-
বাংলার ঐতিহাসিক প্রবাদ-
জাতের মেয়ে কালোও ভালো,
নদীর জল ঘোলাও ভালো।

লেখক: পরিচালক, আল-কোরআন ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।

Print Friendly, PDF & Email