|

ভালুকার সাথে কানেক্টেড ব্যাক্তিদের নানারকম সুবিধা দিচ্ছে ‘ভালুকা হেল্পলাইন’

প্রকাশিতঃ ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ | নভেম্বর ০৮, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্ট, ভালুকার খবর: ভালুকায় জন্ম, ব্যবসা, চাকুরী, ভ্রমণসহ যে কোন ভাবে কানেক্টেড ব্যাক্তিদের নানারকম সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে ‘ভালুকা হেল্পলাইন’ নামের ফেসবুক ভিত্তিক একটি অনলাইন গ্রুপ । স্বেচ্ছায় রক্তদাতা খোঁজা, ভালুকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, পরামর্শ পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সেবামূলক ওই গ্রুপটি। ফলে অল্প দিনেই ওই গ্রুপটির সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকে তড়িৎ গতিতে।

চলতিবছরের ১০ই মার্চ, পূর্ব ভালুকা এলাকার তরুণ; স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অভ্যুদয়ের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ইমন তালুকদার সাগর, পশু চিকিৎসক অভিজিৎ রায়, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সুমন, মোহাম্মদ ইমন, তোফায়েল, শারমিন, স্মৃতি, সেলিম খান, আল-মাহমুদ পিয়াস, জসিম, অন্যনা, সালমা, নাহিদ সহ স্থানীয় অল্প কিছু অনলাইন এ্যকটিভিটস তরুণ-তরুণীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলো ‘ভালুকা হেল্পলাইন’। অল্পদিনেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে গ্রুপটি। বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার সদস্যের গ্রুপটি পরিচালনা করছে ২৮জন এডমিন ও মডেরেটর। প্রতিদিন অসংখ্য সেবামূলক পোষ্টে উপকৃত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

ভালুকা হেল্পলাইন গ্রুপের পরিচালক ও সদস্যরা অনলাইনেই সীমাবদ্ধ নয়। তারা বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে অসহায় প্রবীণ নারী-পুরুষদের সাথে আনন্দময় সময় কাটানো, রমজান মাসে এতীমদের সাথে ইফতার, বিনামূল্যে কোরআন শরীফ বিতরণ, পথশিশুদের ঈদ বস্ত্র বিতরণসহ নানা রকম সামাজিক কাজে অংশ গ্রহন করছে সরব ভাবে।

‘ভালুকা হেল্পলাইন’ এর প্রধান উদ্যোক্তা ও এডমিন ইমন তালুকদার সাগরের সাথে কথা হলে তিনি গ্রুপটির আদর্শ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তর জানান প্রতিবেদককে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাণের ভালুকার ইতিহাস, হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য, ভুলে যাওয়া সংস্কৃতি, দর্শনীয় স্থান, ঐতিহ্যবাহী পণ্য, উন্নয়ন ও সফলতা গোটা বিশ্বে তুলে ধরতে কাজ করছে ভালুকা হেল্পলাইন। তাছাড়া ভালুকার সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত ব্যাক্তিদের বিনা পারিশ্রমিকে সহযোগীতা করা আমাদের গ্রুপটির উদ্দেশ্য। আমরা চেষ্টা করি সকলকিছুর উর্ধ্বে উঠে সচেতনতা মূলক ও পজেটিভ কিছু করার জন্য’।

জানা যায়, ঢাকা কলেজ পড়ুয়া ভালুকার মেয়ে রিনি আক্তার ভালুকায় বাড়ি এমন পরিবারের শিক্ষার্থীদের টিউশনী করানোর ইচ্ছা নিয়ে ভালুকা হেল্পলাইনে পোস্ট করেছিলেন। অল্প সময়ের মাঝেই রিনির সমস্যা সমাধান হয়েছিলো। মনমতোন কর্মসংস্থান পেয়েছে ভালুকা হেল্পলাইনের কল্যাণে। পরবর্তীতে ভালুকা হেল্পলাইন পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেসবুকে ওই প্রাপ্তির কথা লিখেছিলেন কৃতজ্ঞতা ভরে।

টংগী এলাকার ব্যাবসায়ী রফিক ভুইয়া ব্যবসায়ী কাজে ভালুকার কাচিনা গ্রামে যাওয়ার নির্দেশনা চেয়ে পোষ্ট দিয়েছিলেন ভালুকা হেল্পলাইনে। আরামদায়ক ভাবে তার কাজ সমাধান হয়েছে ভালুকা হেল্পলাইনের সদস্যদের পরামর্শে। নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে ধন্যবাদ জানিয়ে পোষ্ট করেন ভালুকা হেল্পলাইন পরিবারকে।

ভালুকা হেল্পলাইন সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এটা খুব ভালো একটা উদ্যোগ তবে গ্রুপটি পরিচালনাকারীদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে যেন কেউ গ্রুপটিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে খারাপ কাজে ব্যাবহার করতে না পারে। খেয়াল রাখতে হবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে যেন কেউ মানুষকে বিব্রত বা উসকানী দিতে না পারে।

Print Friendly, PDF & Email