|

ভালুকায় কাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহর ব্যবধানেই উঠে গেল রাস্তার পিচ

প্রকাশিতঃ ৯:৫৯ অপরাহ্ণ | জুন ১১, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্ট, ভালুকার খবর: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিরুনীয়া ইউনিয়নে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তাটি পাকা করার কারণে কাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহর ব্যবধানেই বিভিন্ন স্থানে সাইড ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সরেজমিন ঘুরে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ও লিখিত অভিযোগ জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের নুন্দীবাড়ি থেকে জোনাকীর টেক রাস্তার শেষ অংশ গোয়ারী ওয়াহদ কেরানীর বাড়ি হতে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ করা হয়। দীর্ঘদিন কাজটি না হলে গত তিন মাস পূর্বে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তৃপ্তি ষ্টিল বিতান কাজটি শুরু করেন এবং গত ঈদের তিন দিন আগে শেষ করা হয়।

অভিযোগে প্রকাশ রাস্তার কাজ শেষ করার পর পরই বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে স্থানীয় লোকজনের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ রাস্তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে রাস্তায় নিম্নমানের কাজ হওয়ায় স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগকারী গোয়ারী গ্রামের মৃত কুদ্দুস মেম্বারের ছেলে মো: হায়দর আলী জানান, রাস্তাটি নির্মাণে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। নিম্নমানের ইট সুরকী ব্যবহারসহ গর্ত কম করে সুরকী ও বালির পরিমান ছিলো খুবই কম। তাছাড়া রাস্তার উপরে পিচ ঢালাইয়ে বিটুমিন ও মালামাল কম দেয়ায় কাজ শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন স্থানে রাস্তার সাইডে ফাটল দেখা দিয়েছে। এমনকি কার্পেটিংও উঠে যাচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, ঠিকাদার নিজে রাস্তার সাইডে না গিয়ে তার ভাই অবসরপাপ্ত সেনা সদস্য তারা মিয়া ওরফে তারা মিলিটারিকে দিয়ে কাজ করিয়েছেন। নিম্নমানের কাজের ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে তারা মিয়া তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের হুমকী প্রদর্শন করেন।

ঠিকাদার আরিফ রব্বানী সবুজ জানান, রাস্তাটি নির্মাণে কোন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। তাছাড়া এই রাস্তা দিয়েই তার গ্রামের বাড়ি যেতে হয়। তাই যতদুর সম্ভব ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছেন। এতে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে গিয়ে বেশ টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে।
ভালুকা উপজেলা এলজিআরডি অফিসার ফরিদুল ইসলাম জানান, রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম হয়েছে, তা আমার মনে হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল জানান, রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email