|

ভালুকায় যৌতুক দাবীতে গৃহবধুকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিতঃ ১০:৫৯ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২৩, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ভালুকার খবর: ভালুকায় নাজমা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধুকে যৌতুক দাবীতে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার দুপুরে উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ।

এ ব্যাপারে নাজমার পিতা আ. মালেক জানান ভালুকায় উপজেলার মেদুয়ারীর রামপুর গ্রামের ছফির উদ্দিনের ছেলে আলম মিয়ার সাথে প্রায় এক বছর পূর্বে আনুষ্ঠানিক ভাবে নাজমাকে বিয়ে দেন।
বিয়ের ৪/৫ মাস পরেই স্বামী আলম মিয়া ও তার শ্বাশুরী যৌতুক দাবী করে নাজমার উপর নানা ভাবে অত্যাচার শুরু করে।

অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে নাজমা তার বাপের বাড়ী চলে যেতে বাধ্য হয়। সে গিয়ে তার বাবা মা এবং অত্মীয় স্বজনদের জানান, ‘তার স্বামী আলম মিয়া ব্যবসার করার জন্য ৪ লক্ষ টাকা এবং একটি মোটরসাইকেল চেয়েছে। স্বামীর চাহিদা অনুযায়ী টাকা এবং মোটরসাইকেল দিতে না পারায় নাজমা শ্বশুর বাড়ী না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রায় ২/৩ মাস বাপের বাড়ীতেই থাকেন’। এক পর্যায়ে দির্ঘদিন পর দুপক্ষের সমাযোতায় নাজমা আবার স্বামীর বাড়ী আসেন।

কিন্তু কিছুদিন পর পূর্বের ন্যায় তার উপর আবার নানা অজুহাত অত্যাচার শুরু করেন তার স্বামী আলম মিয়া। পরে ঈদের পর আবার নাজমাকে বাধ্য করে তার বাপের বাড়ী চলে যেতে। সেখানে গিয়ে তার ঠাঁই হয়নি। তার বাবা মা তাকে স্বামীর বাড়ী যেতে চাপ প্রয়োগ করে। নাজমা তখন কোন উপায় না পেয়ে তার নানার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। নানা নানী বুঝিয়ে শুনিয়ে গত ১৭ আগষ্ট নাজমাকে শ্বশুর বাড়ীতে পাঠান।

নাজমার বাবা আঃ মালেক মিয়া বলেন ১৯ আগষ্ট তার মেয়ে তার কাছে ফোন করে কান্নাকাটি বলে আব্বার আমার জন্য ১০ হাজার টাকা পাঠাও আমার স্বামী চেয়েছে খুব জরুরী দরকার। আমার উপর তার খুব অত্যাচার করছে এই বলে ফোন কেটে দেয়।

পরদিন ২০ আগষ্ট সকালে শুনি আমার মেয়ে নাজমা নাকি বিষ খেয়েছে। আমি দ্রুত তাদের বাড়ীতে আসি মেয়েকে না পেয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেলে চলে যায়, গিয়ে দেখি হাসপাতালের বারান্দায় আমার মেয়ের লাশ পড়ে আছে। আমার বিশ্বাস আমার মেয়ে বিষ খাইনি। ওরাই আমার মেয়েকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে না হয় বিষ খেতে বাধ্য করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।

আঃ মালেক মিয়া আরো জানান এঘটনায় আমি ভালুকা মডেল থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে, তা না নিয়ে আমার কাছ থেকে একটি অপমৃত্যূ মামলা নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে মডেল থানা ওসি মাইন উদ্দিন বলেন হত্যা মামলা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। একটি অপমৃত্যূ মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোটের ভিত্তিতে পরবর্তি আনইনানূগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email