|

ভালুকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীর উপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিতঃ ২:৫৬ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ০৩, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ভালুকার খবর: ভালুকায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক স্বামী তার স্ত্রীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ মার্চ উপজেলার ছিটাল গ্রামে। এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় স্বামী আসাদুল ইসলাম, শশুর সাহেব আলী ও শাশুরী রাশিদা খাতুনকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিত সালমা আক্তার।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২ বছর আগে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক আসাদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় সালমা আক্তারের। বিয়ের সময় সালমার বাবা তার স্বামীকে ৮০ হাজার টাকার স্বর্নালংকার ও আসবাবপত্র উপঢৌকন হিসেবে দেয়। কিছুদিন পর শাকিবুল ইসলাম সায়েম (৮মাস) নামের একটি পুত্র সন্তান হয় তাদের। তার পর থেকই আসাদুল ইসলাম তার বাবা মায়ের পরামর্শে সালমা আক্তারকে যৌতুকের জন্য নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। তারপর মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মেয়ের জামাইকে ব্যবসার জন্য ১লক্ষ টাকা দেয় সালমার বাবা। সেই টাকা দিয়ে ব্যবসা না করে সংসারের বিভিন্ন কাজে ব্যয় করে ফেলে আসাদুল। কিছুদিন পর আবারও সালমাকে ২লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকে। এ বিষয়ে এলাকায় বিচার প্রার্থী হলেও কোন সুরাহা হয়নি। গত শুক্রবার সকালে যৌতুকের টাকা এনে দেওয়ার জন্য সালমাকে ব্যপক মারধর করে আসাদুল। এক পর্যায়ে রান্নাঘর থেকে গরম তৈল এনে সালমার গায়ে নিক্ষেপ করে। এতে সালমার শরিরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়। একপর্যায়ে সালমাকে কোন প্রকার চিকিৎসা না দিয়ে তাঁকে ঘরে আটকে রাখে। পরে কৌশলে সালমা তাঁর মাকে ফোনে বিষয়টি জানালে তারা এসে উদ্ধার করে গত শনিবার ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

সালমা আক্তার বলেন, ‘আমার পরিবার এলাকার বিচার প্রার্থী হয়েও কোন রকম বিচার পায়নি। আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি কিন্তু অজ্ঞাত কারনে মামলা রুজু করা হচ্ছেনা। আমি এর বিচার চাই।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাইন উদ্দিন জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Print Friendly, PDF & Email