|

রাষ্ট্রবিরোধী নাগরিক টিভিতে প্রকাশিত ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিতঃ ৮:২৯ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ভালুকার খবরঃ নাগরিক টিভিতে প্রকাশিত ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সচিব মাকসুদুর রহমান।

আজ বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাকসুদুর রহমান বলেন, নাগরিক টিভি নামে একটি ভূইফোঁড় অনলাইন নির্ভর আইপি টিভির ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর এবং কথিত সংবাদ বা তথ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উল্লেখিত টিভির ফেসবুক পেইজে বলা হয়; তবে কি বসুন্ধরার ৮০ লাখ টাকার ঘুষে নারাজি পিটিশন হবে না?
কথিত এই সংবাদের সঙ্গে আমাকে জড়ানো হয়েছে। তাদের এমন ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক সংবাদ বা তথ্যটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত কথিত সংবাদ বা তথ্যটি সর্বৈব মিথ্যা অনভিপ্রেত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর। একই সঙ্গে এটি রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চক্রান্তের শামিল। চক্রান্তকারীরা এহেন দুঃসাহস দেখিয়ে আমাদের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার গায়ে কালিমা লেপন করতে চায়। আমি এমন কটু চক্রান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, তারা যে মামলার বিষয়ে কল্পনাপ্রসূত হয়ে আমার মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য দিয়েছেন তা একেবারেই ভিত্তিহীন, মনগড়া ও বানোয়াট। আমাদের স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার ব্যবস্থায় এমন কোন লেনদেন হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। তাছাড়া অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম নামে কাউকেই আমি চিনি না।

তিনি আরও বলেন, অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের সঙ্গে আমার কখনও কোন যোগাযোগ হয়নি বা যোগাযোগ করার কোনো প্রয়োজনও হয়নি। সশরীরে দেখা করে ঘুষের টাকা লেনদেন করা তো অনেক পরের বিষয়। নাগরিক টিভির চক্রান্তকারীরা যে মামলার বিষয়ে অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমকে ৮০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা আমার বিরুদ্ধে বলেছেন, সেটি যে শুধুই অপবাদ; তা যুক্তি দিয়ে দেখলে যে কেউ বুঝতে পারবেন। কারণ তারা যে মামলাটির কথা বলেছেন, সে মামলাটি নিয়ে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিলও করেছে পুলিশ। বিজ্ঞ আদালত সেই তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন। পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের কোনো তথ্য-প্রমাণ বা সত্যতা পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে বসুন্ধরা গ্রুপের হয়ে অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম বা অন্য কোন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করার কোন প্রয়োজন পড়েনি আমাদের। কারণ পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিজ্ঞ আদালতে অভিযুক্তকেই উপস্থিত হতে হয়নি। সুতরাং যে মামলায় অভিযুক্তকেই বিজ্ঞ আদালতে হাজির হতে হয়নি, সেখানে একজন আইনজীবীর সঙ্গে এত টাকা লেনেদেন যে বোকার স্বর্গে বাস করে সেও বিশ্বাস করবে না। আর যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা থেকে প্রচারিত ভূঁইফোড় নাগরিক টিভির এ তথ্য কতটুকু যুক্তিযুক্ত হতে পারে তা প্রত্যেক সচেতন ব্যক্তিই স্পষ্ট বুঝতে পারবেন।

আমি এমন ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ বা তথ্য দ্রুত নাগরিক টেলিভিশনের ফেসবুক পেইজ থেকে সরিয়ে ফেলার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে নাগরিক টিভির সাথে জড়িতদের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্বান জানাচ্ছি। তা না হলে দেশে এবং দেশের বাইরে নাগরিক টিভির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে কানাডার আদালতে নাগরিক টিভি ও এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।

প্রসঙ্গত, অনলাইন নির্ভর নাগরিক টিভির ফেসবুক পেইজ পর্যালোচনা করে দেখেছি, তারা ক্রমাগত সরকার, রাষ্ট্র, বসুন্ধরা গ্রুপ ও গ্রুপের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অপপ্রচারে করে যাচ্ছেন। এই টিভির উপস্থাপক টিটো রহমান ও তার সঞ্চালনায় উপস্থিত হওয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রায় একই ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি; তারা সবাই রাষ্ট্রদ্রোহী ও বিভিন্ন নাশকতা মামলার আসামি। অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও আছে। দীর্ঘ বিশ্লেষণে দেখা যায়, বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ এই চক্রটির সরকারবিরোধী কোন উস্কানিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে না বলেই এদের রোষানলে পড়েছে। তাই রাষ্ট্রদ্রোহী এসব চক্রান্তকারীদের মধ্যে যারা বিদেশে আছেন তাদের দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সরকার ও বিচার বিভাগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Print Friendly, PDF & Email