যুবলীগ চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিদেশ কমিটির শুভেচ্ছা ও মতবিনিময়
প্রকাশিতঃ ১০:৫৯ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
সাজ্জাদ হোসেন চিশতীঃ যুবলীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, শেখ ফজলুল হক মনির সুযোগ্য সন্তান অধ্যাপক শেখ ফজলে সামস পরশের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য সাবেক আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, পররাষ্ট্রনীতি গবেষক ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটনের নেতৃত্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্প্রতি শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেছেন।
এ সময় বিদেশ যুবলীগের নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বিশ্বের যুবসমাজের আইকন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মানিত সদস্য সাবেক আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই যে, আপনার সহযোগিতায় বিদেশ কমিটিগুলো আজকে যে সম্মান পেয়েছে, তা অতীতে কোনোদিন পায়নি। আপনার অবদানে আজকে আমরা সবাই যুবলীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি এবং আমাদের মনের সুখ-দুঃখের কথা ও দাবি-দাওয়া সবকিছু চেয়ারম্যানের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি। যে সুযোগ অতীতে কোনোদিন আমাদের হয়নি। সেই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ।
আপনি সবসময় প্রতিটি সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক প্রোগ্রামের খোঁজ-খবর নিয়েছেন, আমাদের গাইডলাইন দিয়েছেন, সুখে-দুঃখে পাশে ছিলেন, আজকে প্রমাণ করে দিলেন আপনি সত্যিকারের একজন কর্মীবান্ধব যুবলীগ নেতা। সর্বশেষে সারা বিশ্বের যুবলীগ নেতাকর্মীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির সুযোগ্য সন্তান রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার যুবলীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ ভাইকে। তিনি সব বিদেশ কমিটিকে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় দিয়ে সবার মনের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং এ কমিটির সব নেতৃবৃন্দকে যথাযথ সম্মান দিয়ে সবাইকে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
যুবলীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে সামস পরশ বিদেশ কমিটির উদ্দেশে বলেন, যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোগ দিয়েছেন তার জন্য তাদের ধন্যবাদ। আমি জানি আপনাদের এ অনুষ্ঠানে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। আমাদের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. সাজ্জাদ হায়দার অনেকদিন আগে থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আপনাদের আশপাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন এ জন্য আমি সাজ্জাদ সাহেবকে ধন্যবাদ জানাই। আমি জানি বিদেশে রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন কাজ, কারণ আমি নিজেও পড়াশোনা করার জন্য বিদেশে ছিলাম। আমি দেখেছি অনেক দেশেই যুবলীগের মধ্যে গ্রুপিং ও কোন্দল রয়েছে, এভাবে দল এগোতে পারে না। আমি অনুরোধ করব বিদেশ কমিটিতে গ্রুপিং বন্ধ করে সবাই এক হয়ে দলের জন্য কাজ করবেন।
আমার বাবা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমি তার ছেলে হিসেবে বলব আমি একজন শিক্ষক, মিথ্যা কথা বলি না। আমি বর্তমান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী আমার ফুপু রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী যুবলীগকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাব। ড. সাজ্জাদ হায়দার যেভাবে আপনাদের সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন এবং আমার সঙ্গে আজকে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তার জন্য আমি খুব খুশি হয়েছি।
এখন থেকে যুবলীগ আরও শক্তিশালী হয়ে এগিয়ে যাবে। আমি যুবলীগকে শিক্ষিত ও ত্যাগীদের দিয়ে গোছানোর জন্য কাজ করব। কোনো ধরনের দুর্নীতিবাজ, মাদকগ্রস্ত ও সন্ত্রাসী যুবলীগে স্থান পাবে না। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন সমাপনী বক্তব্যে বলেন, আমরা যুগলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনিকে রক্ষা করতে পারিনি এবং তার সঙ্গে রাজনীতি করারও সুযোগ ছিল না; কিন্তু তার সুযোগ্য সন্তান বর্তমানে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন, তাই তার সঙ্গে যুবলীগের রাজনীতি করতে পারব বলে আমরা গর্বিত। এটা বর্তমান কমিটির জন্য ইতিহাস।
যুবলীগের অতীতের সব বদনাম ঘুচিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এমন এক ব্যক্তিকে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন, যিনি একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ এবং একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। একজন মানুষ গড়ার কারিগর। যার শরীরে প্রবাহিত হচ্ছে আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধেয় শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির রক্ত। ড. সাজ্জাদ বলেন, আমি আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক থাকাকালে দেখেছি বিদেশের নানা দেশে অনুমোদিত কমিটি না থাকার কারণে গ্রুপিং ও কোন্দল বেশি হচ্ছে। আশা করি এখন থেকে চেয়ারম্যান আপনি যাচাই-বাচাই করে সব অনুপ্রবেশ ঠেকিয়ে অতি দ্রুত বিদেশ কমিটিগুলো সম্মেলনের মাধ্যমে সমাপ্ত করে দেবেন। তখন যুবলীগের চেয়ারম্যান পরশ বলেন, আমার বাবার হাতে গড়া যুবলীগকে অবশ্যই আমার ফুফু আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে-বিদেশে একটি শক্তিশালী যুবলীগে রূপান্তর করব।
যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস উপলক্ষে ১৬টি দেশের নেতৃবৃন্দ ঢাকায় এসেছিলেন এবং তারা সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশের সঙ্গে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের নেতৃত্ব দেন বিদায়ী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন। ওই শুভেচ্ছা মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ব্রাজিল যুবলীগের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান উজ্জল, মালয়েশিয়া যুবলীগের আহ্বায়ক তাসকির আহমেদ, সংযুক্ত আরব আমিরাত যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, জাপান যুবলীগের সভাপতি শাহজাহান আহমেদ, ওমান যুবলীগের আহ্বায়ক তৌহিদুল আলম, কুয়েত যুবলীগের আহ্বায়ক ইমাম উদ্দিন বাদল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক টিটু আহমেদ, গ্রিস যুবলীগের সাবেক সভাপতি রিপন ফকির। সর্বশেষ যুবলীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ তার বাসায় সবাইকে আপ্যায়ন করেন।