|

কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য প্রতিষেধকের কিছু তথ্য ও যুক্তি উপস্থান

প্রকাশিতঃ ১১:২০ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ২৪, ২০২০

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি

বরাবর,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ,

আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ হিসেবে কিছু তথ্য ও যুক্তি আপনার সামনে সদয় বিবেচনার জন্য তুলে ধরছি-
প্রথমতঃ-করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাগত পর্যবেক্ষণঃ আমরা জানি এ যাবৎ মহামারি করোনা ভাইরাসে যত মানুষ পশ্চিমা বিশ্বে অর্থাৎ ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, ইত্যাদি রাষ্ট্রেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশী, কিন্তু কেন? সেই তুলনায় পৃথিবীর জনবহুল দেশ বাংলাদেশ সহ ভারত,পাকিস্তান,মায়ানমার,ভূটান,শ্রীলংঙ্কা এসব রাষ্ট্রের মানুষের মহামারি ভাইরাসে মৃত্যুর হার উপরে উল্লেখিত দেশসমূহের তুলনায় একেবারেই কম, কিন্তু কেন?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী এই ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে সংস্পর্শ জনিত কারণে খুব দ্রুত ছড়ায়, আমাদের দেশে বিগত ৩/৪ মাসের মধ্যে ৭/৮ লক্ষ প্রবাসী আগমন করে তারা সরাসরি নিজ পরিবারের কাছে চলে যায় এবং পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে মিশে, কিন্তু প্রতিরোধ নিয়মাবলী অনেকেই মান্য করে নাই।সেই প্রেক্ষিতে এই প্রবাসী ও তার পরিবারের অনেকেই আক্রান্ত হওয়ার কথা। এই দৃশ্যমান আক্রান্ত ও মৃত্যু জনিত পার্থক্যর জন্য আমরা দুই প্রান্তের খাদ্যাভাসকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করতে পারি।

যেমন পশ্চিমা বিশ্বের মানুষজন প্রক্রিয়াজাত ফাস্টফুড, রিচফুড ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে এবং শরীর স্বাস্থ্য অনেক ভাল। এবার এশিয়া মহাদেশের জনবহুল কিছু রাষ্ট্রে শতকরা ৯০% মানুষ ঝাল জাতীয় বা ঝাল মিশ্রিত খাবার খেয়ে থাকে। এখন প্রশ্ন হল,পশ্চিমা বিশ্বের লোকজনের শরীর স্বাস্থ্য এত ভাল থাকা সত্ত্বেও এত উন্নত জীপন যাপন করার পরেও মহামারি ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু হার এত বেশী কেন? আমার ক্ষুদ্র চিন্তায় এর কারণ হিসেবে আমাদের খাদ্যাভাসে মরিচের ভূমিকায় উল্লেখযোগ্য।সুতরাং এই কোরোনা ভাইরাসের প্রধান প্রতিষেধক উপকরণ হিসেবে আপতত এই মরিচ কেই ধরে নিতে পারি।

আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে এই ভাইরাসটিতে মৃত্যুর পূর্বলক্ষণ হিসেবে সর্দিকাশী, জ্বর ও নিউমোনিয়া দেখা দেয়।আমরা জানি মরিচ পরিমানের চেয়ে বেশী খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় ও সর্দি নাক মুখ দিয়ে অঝোরে ঝড়তে থাকে।মরিচের ঝালের কারণে এই ভাইরাসটি গলা থেকে সরে বা মরে যায় কি না? অন্যদিকে নিউমোনিয়া নিরাময় ক্ষেত্রে আদাবাশকের কচি পাতার নির্ঝাস যুগ যুগ ধরে প্রতিয়মান রয়েছে।

সুতরাং বিনয় ও গভীর শ্রদ্ধার সাথে এই ২ টি উপকরন কোভিড-১৯, এর কার্যকরী প্রতিশেধক হিসেব কাজে লাগানো যায় কিনা- বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সমন্বয়ে পরীক্ষা করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হইল।

লেখক:

মো. সবুজ আকন্দ তোতা
ধীতপুর, ভালুকা,ময়মনসিংহ।

Print Friendly, PDF & Email