|

ভালুকায় স্ত্রীকে হত্যা করে খাটের নিচে লাশ, ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার

প্রকাশিতঃ ১২:১৮ অপরাহ্ণ | জুন ১৫, ২০২৫

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ঈদের আগের দিন স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুন করে লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রেখেছিল এক স্বামী। ঈদের পরদিন (৮ জুন) নিহতের লাশ উদ্ধার হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামীকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর নাম সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি ত্রিশাল উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের তিরখি গ্রামের বাসিন্দা। স্বামী স্বপন মিয়ার বাড়ি ইশ্বরগঞ্জ উপজেলার উজান চর নওপাড়া গ্রামে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি এলাকার সীডস্টোর বাজারে স্বপন ও সাবিনা ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ৬ জুন সকাল ১০টার দিকে স্বপন গ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীর কাছে ৫০০ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে তীব্র কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বপন ফ্রিজের পাশে থাকা ‘শিল’ দিয়ে স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে এবং ধারালো বটি দিয়ে উপর্যুপরি কোপ দিয়ে হত্যা করে।
পরে লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে স্বপন পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় নিহতের মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাও সঙ্গে নিয়ে যায়।
ঘটনার পর স্বপন প্রথমে ঈশ্বরগঞ্জ হয়ে মেয়ের বাড়ি ও মামার বাড়ি নান্দাইলের চর লক্ষীপুরে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে সে গা ঢাকা দেয় গাজীপুরের ভাংনাহাটি এলাকার একটি মেসে।
১৩ জুন বিকেলে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভাংনাহাটি এলাকা থেকে স্বপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শিল ও বটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় স্বপনের পরিহিত লাল পাঞ্জাবির পকেট থেকে নিহত স্ত্রীর মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বপন স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিস্তারিত তদন্ত চলমান রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email