|

শেরপুরে বোরো ফসল কাঁটা-মাড়াই শুরু

প্রকাশিতঃ ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ১০, ২০১৮

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলা সদরসহ ৫টি উপজেলার নিম্নঞ্চলের বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত বছরের অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল বন্যার পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয় বোরো ও আমন ফসল। এছাড়া ব্লাস্ট ও নেক ব্লাস্ট রোগেও অনেক ক্ষতি হয়েছিল ফসলের। এতে অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি গো-খাদ্যের সংকটে পড়া কৃষকরা এবার বোরো চাষ করে বিগত ক্ষতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু এবছরের প্রথম দফার কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আবারও বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারবে কিনা এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে কৃষকদের মনে।
প্রকাশ থাকে যে, বোরো মৌসুমের প্রথম দিকে যে সমস্ত কৃষকরা চাষাবাদ করেছে তাদের কিছু ফসল পেকেঁছে। ওই সমস্ত পাঁকা ধানগুলি কৃষকরা কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছে। এখনো সিংহভাগ ধান কাঁচাই রয়ে গেছে। তবে এসমস্ত কাঁচা ধানে কিছু এলাকায় ব্লাস্ট ও নেক ব্লাট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এ বছর বুকভরা আশা নিয়ে বোরো ধানে স্বপ্ন বুনেছেন কৃষকরা। বোরো ক্ষেতে ধানের চারা রোপণের পর থেকে সঠিক পরিচর্যার কারণে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ফসলের মাঠ জুড়ে যেন সবুজ ও সোনালীর সমারোহ। কোন কোন কৃষক তার রোপণকৃত ধানের ভেতরে চাল হয়েছে কিনা তা দেখতে ছিল। আবার অনেক কৃষককে ধান ক্ষেতে ইঁদুর নিধনের কীটনাশক প্রয়োগ করছে। আবার কিছু এলাকার কৃষকরা শুরু করেছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। যেগুলি খেতে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়নি সেগুলি খেতে বাম্পার ফলন হয়েছে। বি.আর-২৬, বি.আর-২৮ ও বি.আর-২৯শে ব্লাস্ট রোগের আক্রমন বেশী। অন্যান্য প্রজাতির বোরো ফসলে ব্লাস্ট রোগের প্রভাব নেই। বি.আর-২৬, বি.আর-২৮ ও বি.আর-২৯ ধান বর্তমান আবহাওয়ার সাথে সংগতি না থাকায় ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে বেশী। তেজ গোল্ড, হিরা, লাল তীর, টিয়া, বি.আর.ডিসির সুপার হাইব্রিডসহ অন্যান্য হাইব্রিড প্রজাতির ফসল চাষাবাদ করেছেন সেগুলির ভাল ফলন হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে শেরপুর অঞ্চলে বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হবে।
এছাড়া চলতি বছরের গত সপ্তাহের দু’দফা শিলাবৃষ্টি কৃষকদের মনে এবারও ধান হারানোর শঙ্কা জাগিয়ে তুলেছে। এবার যদি বোরো ধান ঘরে তুলতে না পারে তাহলে তাদের পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক।
এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল আওয়াল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অত্র এলাকার  নিন্মাঞ্চলের কিছু ফসল কাটতে শুরু করেছে। তবে পুরোদমে ধান কাটার কাজ শুরু হতে ১৫/২০ দিন সময় লাগবে। শেষ পর্যন্ত বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা না দিলে অত্রাঞ্চলে বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হবে।

Print Friendly, PDF & Email