|

ভালুকায় কৃষকের সব স্বপ্ন ডুবে গেছে বৃষ্টির পানিতে

প্রকাশিতঃ ১১:৪৯ অপরাহ্ণ | মে ০৯, ২০১৮

এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান:  ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের বাটাজোর এলাকার কৃষক শামসুল হক। চলতি বছর প্রায় দুই একর জমিতে বোরো চাষ করেছিলেন। কষ্টার্জিত ফসল ঘরে তোলার আগেই বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে তার জমির পাকা ধান। এতে ধানের সঙ্গে ডুবেছে এ কৃষকের স্বপ্নও। ফলে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি।

একই অবস্থা ইউনিয়নের কাচিনা ও বাটাজোর গ্রামের কৃষক চাঁন মিয়া, আফাজ ফকিরসহ প্রায় তিন শতাধিক কৃষকের। ধারদেনা করে বোনা ফসল এভাবে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।

শুধু এ ইউনিয়নই নয়; উপজেলার রাজৈ, বিরুনিয়া ও ভরাডোবা ইউনিয়নেও সপ্তাহ খানেক আগের ভারী বর্ষণে পাকা ও আধাপাকা ধান ডুবে প্রায় দুই হাজার কৃষকের সর্বনাশ হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত ২৯ এপ্রিল থেকে ০৩ মে পর্যন্ত ভারী বর্ষণে এ উপজেলার ওইসব ইউনিয়নের মধুনী,মোহনার পাথার, বরাইল ও হরইল বিলসহ শতাধিক গ্রামে বোরো ফসলের জমিতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এ অতি বৃষ্টিতে কমপক্ষে ৮ শতাধিক হেক্টর জমির ধান ডুবেছে।

ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল জানান, এ বছর উপজেলায় ১৮ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। এর মধ্যে ৮শ’ হেক্টর জমিতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ৮০ হেক্টর জমি পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠিয়েছি।

এদিকে বোরোর এমন ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কাচিনা এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শাহাবুদ্দিন ভাণ্ডারি বাংলানিউজকে বলেন, মাঠের পর মাঠ বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। অথচ এ ফসল চাষবাস করতে আমাদের অনেক খরচা হয়েছে। এখন সামনের দিনগুলোতে কীভাবে চলবো এ নিয়েই দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে একই এলাকার কৃষক জুলহাস ফকির বলেন, বৃষ্টির পানি কৃষকদের সর্বশান্ত করে ছেড়েছে। ধারদেনা করে জমিতে ফসল ফলালাম।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মাজেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অফিসে পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email