সফল শিল্পোদ্যোক্তাই নয়, ভালুকার যুবসমাজের উদাহরন মামুন
প্রকাশিতঃ ১:৫৩ অপরাহ্ণ | জুন ১১, ২০১৮

বিশেষ প্রতিবেদক ভালুকার খবর: ২০০৮-০৯ সনের কথা। তখন তিনি ছাত্র। পড়াশুনার পাশাপাশি বাবার ব্যবসা টুকটাক দেখাশুনা করেন। ভদ্র-বিনয়ী ও মিশুক প্রকৃতির চরিত্র থাকায় শুধু ব্যাবসায়ীক কমিউনিকেশনটি রপ্তই করেননি বাবার ব্যাবসার সাথে সংস্লিষ্ট সকলের প্রিয় পাত্র হিসেব প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। খোঁজ খবর ও দেখাশুনা ছাড়া তেমন কোন শারিরীক পরিশ্রম নেই বাবার ব্যাবসায়। শিল্প এলাকায় জন্মনেওয়া ছেলেটি শিল্প উদ্যোক্তা হবেন এমন স্বপ্ন রাতের ঘুম হারাম করেছে তাঁর।
মোটামুটি একটা শিল্প প্রতিষ্ঠান দাঁড় করলেও প্রয়োজন প্রায় অর্ধকোটি টাকা। ব্যাবসায়িক বিচক্ষণতা, মেধা, সততা ও পরিশ্রম দিয়ে বাবার আস্থাভাজন ছেলে খেতাব তখন তাঁর হাতে মুঠোই। ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাবার কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে গড়ে তুলেন “সুপ্তি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং” নামের শতভাগ রপ্তানিমুখী একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। পঁচিশ বছর বয়সী ধর্মভিরু পরিশ্রমী তাগরা যুবকটিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বলছিলাম ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা হবিরবাড়ি ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মো. শহিদুল ইসলাম ও আলহাজ্ব মাহমুদা খাতুনের বড় ছেলে আলহাজ্ব মো. মুস্তাফিজুর রহমান মামুনের কথা। ৭বছরের ব্যবধানে বর্তমানে নিজেকে শুধু সফল তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে সকলের বাহাবাই কাড়েনি, দেশ ও দেশের বাইরের শিল্পাঙ্গনে নিজেকে প্রভাবশালী ও সৎ শিল্পপতি হিসেবে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রথম ব্যাবসায় সফল যুবকটি বর্তমানে সুপ্তি সোয়েটার, সুপ্তি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং, এসআরএফ পলিফ্লেক্স ও শহিদ-মিনা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সবমিলিয়ে প্রায় শত কোটি টাকার ব্যাবসা দেখাশুনা করেন সে। সবকিছুর মূলে তাঁর বাবা, ভালুকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ¦ শহিদুল ইসলামকেই আদর্শ ও অনুপ্রেরণার মূলমন্ত্র হিসেবে মানেন তিনি।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানব সম্পদ উন্নয়নে স্নাতক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করা মামুন আমেরিকার নিউইয়র্ক ফেডেরাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে ভর্তির আবেদন করেছেন।
বিজিএমইএ, এক্সেসরিজ ম্যানুফ্যাকচারিং এসোসিয়েশন ও ময়মনসিংহ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সদস্য মামুন বছরদেড় আগে ময়মনসিংহের নূসরাত জাহান রথী কে বিয়ে করে সংসার জীবনে পা দিয়েছেন। ব্যবসার সুবাধে এশিয়া ও ইউরোপের প্রায় ২০টি দেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহন ও ভ্রমনের সুযোগ হয়েছে তাঁর । তাছাড়া মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অনুদান দিচ্ছেন। প্রতিবছর দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন। তাঁর আর্থিক অনুদানে কয়েকটি এতিমখানা পরিচালিত হচ্ছে। তরুণ উদীয়মান শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান মামুন জানান, ভালো চিন্তার সাথে আল্লাহর রহমত থাকে। আমি ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত শিল্পসমৃদ্ধ একটি ভালুকা গড়ার স্বপ্ন দেখি। যে ভালুকার সবাই কাঁধে কাঁধ রেখে এবং হাতে হাত মিলিয়ে উন্নত ও সয়ংসম্পূর্নতার স্বপ্ন দেখবে। আমি ভালুকাবাসীর দোয়া ও সহযোগীতা চাই।