সোলার আলোয় আলোকিত ভালুকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রকাশিতঃ ৪:৫১ অপরাহ্ণ | জুন ২৮, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্ট, ভালুকার খবর: সোলার আলোয় আলোকিত হয়েছে ভালুকার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই সুবিধা থাকায় লোডশেডিং হলেও প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
ভালুকা ডিগ্রী কলেজ, সায়েরা সাফায়েত উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, হালিমুন্নেছা চৌধুরাণী বালিকা উচ্চ বিদ্যালায়, এ্যাপোলো ইনস্টিটিউট অর কম্পিউটার, ভরাডোবা উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলার ৯টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে।
বিদ্যুতের ওপর চাপ কমাতে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিলো বাংলাদেশ সরকার। আগে লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় কাজ বন্ধ থাকলেও এখন সৌর বিদ্যুতের কল্যাণে কম্পিউটার, ফ্যান ও লাইট জ্বলিয়ে সেই দুরবস্থার মুক্তি মিলেছে। এতে উপকৃত হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েই।
শিক্ষকরা বলেন, সৌর বিদ্যুৎ দেওয়াতে বিদ্যুৎ না থাকলেও যেকোনো বৈদ্যুতিক কাজ আমরা নির্বিঘ্নেই করতে পারছি।
এখনো উপজেলা সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৌর বিদ্যুতের এ সুবিধা পাচ্ছেন না। তবে পর্যায় ক্রমে উপজেলার সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই সোলার প্যানেল স্থাপন হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম ফারুখ রেজা।
উপজেলার অন্যান্য স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা সোলার প্যানেল বসানোর দাবী জানিয়েছেন।
হালিমুন্নেছা চৌধুরাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আনোয়ারা নীনা জানান, আমাদের স্কুলে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টা মাল্টিমিডিয়া ক্লাস করতে হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে আমাদের ওইসব ক্লাস নিতে অনেক অসুবিধা হতো। ৫০মিনিটের ক্লাসে যদি ৩০মিনিট পর বিদ্যুৎ চলে যেতো তাহলে আবার শুরু থেকে ক্লাস নিতে হতো। যার ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রায়ই ব্যাঘাত ঘটতো। কিন্তু বর্তমানে আমাদের বিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ থাকার ফলে আমাদের আর কোন অসুবিধা হচ্ছেনা। অফিসিয়াল জরুরী কাজের সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে সবকিছু স্থবির হয়ে যেতো। এখন আমাদের আর কোন সমস্যা নাই। সৌর বিদ্যুৎ লাগানোর পর স্কুলের সব কাজেই বেড়েছে গতি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম ফারুখ রেজা বলেন, সরকার বিদ্যুতের ওপর চাপ কমাতে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সুবিধার জন্য এই প্রকল্পটি চালু করেছে। সোলার প্যানেল স্থাপন সরকারের নিয়মিত একটি প্রকল্প। আমরা ইতোমধ্যে উপজেলার প্রায় সবগুলো মসজিদ, মাদরাসা ,মন্দিরে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে।