|

বৃষ্টিতে টিএসসির চুমুর ছবি তোলা জীবনের ভূমিকাই রহস্যময়

প্রকাশিতঃ ১:৫০ পূর্বাহ্ণ | জুলাই ২৯, ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট, ভালুকার খবর: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির নির্মল প্রেমের ছবিটির ফটোগ্রাফার জীবন আহমেদকে নিয়ে কিছু অতিরঞ্জিত ও বিভ্রান্তিমূলক গুঞ্জন ছড়িয়েছি। এ নিয়ে একাধিক নিউজপোর্টালে বেশ কিছু ভিত্তিহীন সংবাদও প্রচার হচ্ছে। বৃষ্টিতে টিএসসির চুমুর ছবি তোলার পর জীবনের রহস্যময় আচরণই এসব বিভ্রান্তি উসকে দিচ্ছে।

পূর্বপশ্চিম অনলাইন পোর্টালে কন্ট্রিবিউটিং ফটোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত জীবন আহমেদ। টিএসসিতে আলোচিত ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পরদিন সকালে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর জীবন অাহমেদ অফিসে এসে তার উপর হামলার বিষয়টি জানান এবং কান্নাকাটি করতে থাকেন। তিনি জানান, উল্লেখিত ছবিটি তোলায় তাকে ‘সাংবাদিক নামের কলঙ্ক’ আখ্যায়িত করে বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত কয়েকজন ফটোসাংবাদিক মারধর করেছে, সাংবাদিকতায় থাকলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং জোরপূর্বক ফেসবুকে ‘আমি সাংবাদিকতা ছেড়ে দিলাম’ স্ট্যাটাস দিতে বাধ্য করা হয়েছে। ফটোগ্রাফার জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি অফিসিয়ালি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয় এবং আইনী ব্যবস্থার জন্য অফিসের একাধিক কর্মীসহ তাকে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়।পাশাপাশি তার ওপর হামলাকারী বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত ফটোসাংবাদিকদের অফিসে যোগাযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানো হয়।

পরে অজানা কারণে ফটোগ্রাফার জীবন আহমেদ থানায় কোনো প্রকার অভিযোগ না জানিয়ে হামলাকারীদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সমঝোতা করেন। সমঝোতার আগে বা পরে অফিসকে তিনি কিছুই জানাননি।

এরই মধ্যে বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য থেকে পূর্বপশ্চিম জানতে পারে, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তোলা ওই ছবিটির কারণে তার ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটেনি। ব্যক্তিগত বিরোধের কারণেই এই হামলা ঘটছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হলে অফিসে গত ২৫ জানুয়ারি মিটিং ডাকা হয় এবং পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে জীবন অাহমেদকে মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই মিটিংয়ে জীবন উপস্থিত হননি এবং অফিসের সঙ্গে পরবর্তীতে তিনি কোনো ধরনের যোগাযোগ রাখেননি।

২৪ জুলাইয়ে পর থেকে জীবন আহমেদ অফিসে অনুপস্থিত। আন-অফিশিয়ালি নিউজ এডিটরসহ অন্য কলিগদের ওই ফটোগ্রাফার জানিয়েছেন, তিনি অপরাধ করেছেন। পূর্বপশ্চিমে কাজ করার নৈতিকতা হারিয়েছেন।

বর্ষার বৃষ্টিতে চুমু ছবিটি প্রকাশ নিয়েও একাধিক সংবাদমাধ্যম ফটোগ্রাফারের যে বক্তব্য প্রকাশ করেছে তা অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক। ওই ছবিটি আহমেদ আগে তার ফেসবুক টাইমলাইনে প্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে অফিসে পাঠায়। তবুও পূর্বপশ্চিম ছবিটিকে নিয়ে আলাদা নিউজ করে। পূর্বপশ্চিম অনলাইন পোর্টাল একটি প্রগতিশীল সংবাদমাধ্যম। সম্পাদকীয় শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে প্রত্যেক সংবাদকর্মী জীবনকে ছবিটি তোলার জন্য অভিনন্দন জানান। পরবর্তীতে তার দ্বি-মুখি রহস্যময় আচরণ পূর্বপশ্চিমের সহকর্মীদের বিস্মিত ও মর্মাহত করেছে।

সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি

Print Friendly, PDF & Email