ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ জানুন
প্রকাশিতঃ ১২:৪২ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট, ভালুকার খবর: সারা দেশে এই সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়। ডেঙ্গু জ্বরের প্রথম লক্ষণ জ্বর হলেও সাধারণত জ্বরের সাথে আরও কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ডেঙ্গু জ্বরের প্রথম দিকে যদি সঠিক চিকিৎসা করা হয়, তবে এটি দ্রুত সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে এটি ব্যাপক আকারে দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত। ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান প্রধান লক্ষণগুলো আসুন জেনে নেওয়া যাক। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
উচ্চমাত্রায় জ্বর : ডেঙ্গুতে হঠাৎ করে অনেক জ্বর দেখা দেয়। বেশির ভাগ সময় এই জ্বরের মাত্রা ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইটের উপর হয়ে থাকে, সহজে কমে না। বরং দিন দিন বাড়তে থাকে।
তীব্র মাথা ব্যথা : ডেঙ্গু জ্বরের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হল তীব্র মাথা ব্যথা করা। মাথা ব্যথা এতটাই তীব্র হতে পারে যে এটি ব্রেন হেমোরেজের মতো সমস্যাও তৈরি করতে পারে। যা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় অনেক সময়।
জয়েন্ট পেইন : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর প্রায় সময় জয়েন্টে ব্যথা দেখা দেয়। এইসময় বিভিন্ন পেশী, হাড়, গিঁটে, মাংসপেশিতে এবং জয়েন্টে ব্যথা করে থাকে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পেইন কিলার খাওয়া উচিত নয়।
পানিশূন্যতা : শরীরে পানির মাত্রা কমিয়ে দেয় ডেঙ্গু জ্বর। বেশি তাপমাত্রার কারণে শরী্রের পানি শুকিয়ে গেলে অনেক সময়ই শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে রোগীকে স্যালাইন পান করতে দেওয়া উচিত। এতে কিছুটা হলেও পানির ঘাটতি কমে যাবে।
রক্তক্ষরণ : ডেঙ্গু হলে শরীরের নানা জায়গায় রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায়। বাইরের অঙ্গের পাশাপাশি শরীরের ভেতরের অঙ্গ যেমন মস্তিষ্কেও রক্তক্ষরণ হতে পারে। যা রোগির মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
রক্তে প্লাটিলেটের কমে যাওয়া : ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ খুব দ্রুত কমতে থাকে। এর কারণে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে রক্তচাপ দেখা দেয়। যার কারণে রোগী দূর্বল বোধ করে।
বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া : ডেঙ্গু জ্বরের অন্যতম আরেকটি লক্ষণ হল বমি হওয়া অথবা বমি বমি ভাব অনুভব হওয়া। অনেক সময় বমি না হলেও প্রচন্ড বমি বমি ভাব হয়ে থাকে।
ত্বকে লাল র্যাশ : ডেঙ্গু জ্বরে অন্যতম একটি লক্ষণ হল ত্বকে লাল লাল র্যাশ দেখা দেওয়া। এটি ডেঙ্গু জ্বরের প্রথম দিকেই দেখা দেয় না। সাধারণত দ্বিতীয় এবং পঞ্চম দিন থেকে ত্বকে র্যাশ দেখা দেয়। ত্বকে র্যাশ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।