|

জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের চেষ্টা প্রশংসনীয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ ৪:৪১ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট, ভালুকার খবর: পুলিশের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই জঙ্গিবাদ দমনে সাফল্য এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বাংলাভাই, জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটেছিল। পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, তারা সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে জঙ্গিবাদমুক্ত রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে।

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গাজীপুর ও রংপুরের উন্নয়নে এই দুই পুলিশ ইউনিট ভূমিকা রাখবে। এর ফলে এসব অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়বে, ফলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে থাকবে ও জনসাধারণ নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করতে পারবে।’

পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসলে কাজের কথা বিবেচনা করে, আমি দেখেছি, পুলিশ বাহিনীকে অনেক কষ্ট করতে হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমি দেখেছি মাত্র ২০ শতাংশ রেশন পেতো, আমি সেখান থেকে তা বাড়িয়ে দিয়েছি, ঝুঁকি ভাতা চালু করা থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছি, তাদের আবাসন ব্যবস্থা করেছি। আজকে রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দুটি ইউনিট চালু করছি যাতে এই দুই অঞ্চলের মানুষ আইনি সেবা পেতে পারে।’

জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই দেশে বাংলাভাই, জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটেছিল। পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, তারা সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে জঙ্গিবাদমুক্ত রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের কোনও কর্মঘণ্টা নাই। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নি-সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে পুলিশ বাহিনী। প্রায় ২৭ জন পুলিশ নিহত হয়েছে সেসময়।’

উত্তরবঙ্গের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ একসময় অবহেলিত ছিল। আমরা সেখানে ইপিজেড করেছি। অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। আমরা রংপুরকে বিভাগ করেছি। এখন রংপুরকে মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট ঘোষণা করছি। আমরা উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, দেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ এভাবেই মর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যাবে। বিশ্বে আর কারও কাছে হাত পাতবে না বাংলাদেশ।

‌এ সময় পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, আসলে কাজের কথা বিবেচনা করে আমি দেখেছি, পুলিশ বাহিনীকে অনেক কষ্ট করতে হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমি দেখেছি মাত্র ২০ শতাংশ পুলিশ রেশন পেতো, আমি সেখান থেকে তা বাড়িয়ে দিয়েছি, ঝুঁকি ভাতা চালু করা থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। তাদের আবাসন ব্যবস্থা করেছি।

এ ছাড়াও সদ্য চালু করা গাজীপুর ও রংপুর মেট্রপলিটন পুলিশ ইউনিট প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, গাজীপুর ও রংপুরের উন্নয়নে এই দুই পুলিশ ইউনিট ভূমিকা রাখবে। এর ফলে এসব অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়বে, ফলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে থাকবে ও জনসাধারণ নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করতে পারবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী দফতরের মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন। এরপর বক্তব্য রাখেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী। তারপর মুক্তিযুদ্ধ ও আইনশৃঙ্খলায় পুলিশের অবদান নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের একটি প্রমাণ্যচিত্র দেখানো হয়। এরপর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

Print Friendly, PDF & Email