|

আরিচা ঘাটের স্পিডবোটও এমপি দুর্জয়ের নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিতঃ ৫:১৪ অপরাহ্ণ | জুন ২৭, ২০২০

ডেস্ক রিপোর্ট, ভালুকার খবর: অভিযোগের শেষ নেই মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে। নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ফসলি জমির মাটি কাটা, সন্ত্রাস আর দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আরিচা-কাজিরহাট-নগরবাড়ী নৌ রুটে ৪০টি স্পিডবোট রয়েছে। কিন্তু সংসদ সদস্যের প্রভাবে ওই ঘাটে স্পিডবোট চলছে মাত্র ৯টি।অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুর্জয়ের নিজের দুটিসহ ৯টি স্পিডবোটই তার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চালানো হয়। অন্য বোটের মালিকরা অনেক আবেদন-নিবেদন করেও এই ঘাটে প্রতিদিন বোট চালাতে পারেন না। 

কয়েকজন স্পিডবোট মালিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এমপি ও তার সিন্ডিকেটের কারণে আমাদের এখন করুণ দশা। এ নিয়ে কথা বলারও কেউ নেই। তারা প্রতি মাসে তিন লাখ টাকার বেশি উপার্জন করলেও আমাদের তেলের খরচ ওঠানোই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’

স্পিডবোট কিনেও নিয়মিত ঘাটে চালাতে পারছেন না জেলা ছাত্রলীগের এক সহসভাপতিসহ যুবলীগের কয়েক নেতা। কিন্তু দুর্জয় সিন্ডিকেটের ভয়ে তারা কেউ মুখ খুলতে চাননি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা যুবলীগের এক নেতা বলেন, ‘সংগঠন করতে গিয়ে আমাদের কিছু খরচের দরকার পড়ে। তাই শেয়ারে স্পিডবোট কিনেছিলাম। কিন্তু এখন ঘাটে নিয়মিত চালাতে পারছি না। পুরো ঘাট একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করছেন এমপি দুর্জয় ও তার ঘনিষ্ঠরা।’ 

উপজেলা যুবলীগের সাবেক এক সহসভাপতি বলেন, ‘দেখুন, স্পিডবোট কী চালামু; আমাদের কোনো ট্রিপই দেওয়া হয় না। শুধু পরিবহন ট্রিপ কিছু পাই। সেই টাকা দিয়ে নিজের সংসার চলা তো দূরের কথা, তেল খরচ এবং চালকের বেতনও দিতে পারি না। আমার মতো অবস্থা অনেকেরই।’

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Print Friendly, PDF & Email