|

ভালুকায় মেধাবী ও চৌকস পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের যড়যন্ত্রের অভিযোগ

প্রকাশিতঃ ১১:৪৮ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ভালুকা: ময়মনসিংহের ভালুকা মডেল থানার মেধাবী, চৌকস, দায়িত্বশীল ও মানবিক পুলিশ অফিসার এএসআই পাইলট ভৌমিকের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। তার নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে পুলিশ সদরদপ্তর, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় এবং পুলিশ সুপারের কাছে নামে বে-নামে অভিযোগ দিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা অধীর চন্দ্র ভৌমিকের ছেলে এএসআই পাইলট ভৌমিক মাদক উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার, বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্তদের গ্রেফতারসহ অপরাধ নির্মূলে কঠোর ভূমিকা রেখে আসছে। তিনি একাধিকবার ময়মনসিংহ জেলায় ও ময়মনসিংহ রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশ ও ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ থেকে সম্মাননা স্মরক প্রাপ্ত হয়েছেন। মাদক ও অপরাধ নির্মূলে তার এইসব সফলতায় মাদক ব্যবসায়ীসহ অন্যান্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে নামে বে-নামে এসব অভিযোগ দেন এবং অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।

সূত্রে জানা যায়, ভালুকা থানার সাবেক এএসআই মো. তানভীর (বিপি নং-৯১১১১৩৯৮৩৪, বর্তমানে শেরপুর জেলায় কর্মরত) এবং মো. শাহ আলম (বিপি নং-৮৫০৪০২৯৪৫৬, বর্তমানে জামালপুর জেলায় কর্মরত) এসব ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছে। তানভীর এবং শাহ আলম এর বিরুদ্ধে গফরগাঁও সার্কেল অফিসে পিআইও রিপোর্ট তদন্তাধিন রয়েছে। এই পিআইও রিপোর্ট এবং প্রশাসনিক কারণে ভালুকা থানা হতে বদলি হওয়ায় তারা এএসআই পাইলট ভৌমিককে দোষারোপ করছে। তাছাড়া তারা এর জের ধরে এএসআই পাইলট ভৌমিকের এর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলকভাবে জামালপুর ও শেরপুর থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে নামে বে-নামে এসব ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

ভালুকা থানার সাবেক এএসআই মো. তানভীরের আপন চাচাতো ভাই উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্ধা সুজন একটি দরখাস্ত দিয়েছে এবং সুজনের ঘনিষ্ট বন্ধু আসাদকে দিয়ে আরেকটি দরখাস্ত দিয়েছে বিভিন্ন দপ্তরে।

অপর একটিসূত্রে জানা যায়, উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের বারশ্রী গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলামকে ২৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে ভালুকা মডেল থানার এসআই চন্দন সরকার ও এএসআই পাইলট ভৌমিককের নেতৃত্বাধীন একটি অভিযানিক দল। পরে ঘটনার সাথে জড়িত কামরুল ইসলামের সৎ ভাই মাদক ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেনকে পলাতক উল্লেখ করে ভালুকা মডেল থানায় এসআই চন্দন সরকার বাদি হয়ে মাদক মামলা রুজু হয়। মোফাজ্জল হোসেনের নামে ভালুকা মডেল থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। এতে কিছু প্রভাবশালীদের ইন্দনে মোফাজ্জল বিভিন্ন দপ্তরে বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে এএসআই পাইলট ভৌমিককে হয়রানী করছে।

পুলিশ সদরদপ্তর, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় এবং পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে এএসআই পাইলট ভৌমিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। আমি বিভিন্ন সময়ে অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল এবং গুরুত্বপূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা ডিউটিতে সাহসিকতা ও কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে এসেছি। চেষ্টা করি সবসময় মানুষকে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সেবা দেওয়ার। মাদক কারবারীদের সাথে আপোষ না করায় আমি এ হয়রানীর স্বীকার হচ্ছি। আমার মান-সম্মান নষ্ট করা সহ আমাকে হেয়-পতিপন্ন করার জন্য আমার চাকুরীর জীবনের কর্মকান্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু আইন বিরোধী অসাধু ব্যক্তি উঠে পড়ে লেগেছে।

ভালুকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, এএসআই পাইলটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েছে তবে এগুলো সত্য নয়। পাইলট একজন ভালো অফিসার হওয়ায় মাদককারবারিরা তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email