ভালুকায় প্রবাসীর বসতভিটা ও কবরস্থানের জমি দখলের চেষ্টা, ২০ লাখ টাকা চাঁদার অভিযোগ
প্রকাশিতঃ ৫:৫৯ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০১, ২০২৫

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকায় এক প্রবাসীর বসতভিটা ও পারিবারিক কবরস্থানের জমি দখলের চেষ্টা এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভালুকা উপজেলার রাজৈ এলাকার সৌদি প্রবাসী আনছারুল হক (৪০) বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, রাজৈ এলাকার মৃত আত্তস আলীর ছেলে আঃ আজিজ মন্ডল (৬০), মৃত আঃ কাদেরের ছেলে লিটন মন্ডল (৪৮), মৃত আঃ রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন মেঘু (৫৮), মন্নাছের ছেলে আঃ খালেক (৫৩), মৃত রজব আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম রবি (৫০), আঃ খালেকের ছেলে সবুজ (৩৩), মৃত আঃ রহমানের ছেলে নবি হোসেন (৫২), ইসমাইল হোসেন মেঘুর ছেলে সোহেল মিয়া (৩৫), মৃত মন্নাছের ছেলে আঃ মালেক (৫১), এবং মৃত আঃ রহমানের ছেলে মনির হোসেন (৪৮)।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আনছারুল হক দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সৌদি আরবে প্রবাস জীবনযাপন করছেন। দেশে না থাকার সুযোগে উল্লিখিত বিবাদীরা তার বসতভিটা ও জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ছয় মাস আগে দেশে এসে তিনি বসতভিটা ও পারিবারিক কবরস্থানের জমিতে পাকা বাউন্ডারি নির্মাণ শুরু করলে বিবাদীরা ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং নির্মাণাধীন বাউন্ডারির পিলার ভাঙচুর করে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ সময় বাধা দিলে প্রবাসী ও তার পরিবারকে খুন-জখম ও উচ্ছেদের হুমকি দেয় অভিযুক্তরা।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং নির্মাণাধীন বাউন্ডারির পিলার ভাঙচুর করে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ সময় বাধা দিলে প্রবাসী ও তার পরিবারকে খুন-জখম ও উচ্ছেদের হুমকি দেয় অভিযুক্তরা।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আঃ আজিজ মন্ডলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন মিথ্যা। চাঁদা দাবি ও বাউন্ডারি ভাঙার অভিযোগ সঠিক নয়।
প্রবাসী থানায় অভিযোগ দায়ের করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, যেকোনো সময় বিবাদীরা তার পরিবার ও সম্পত্তির ক্ষতি করতে পারে।
প্রবাসী থানায় অভিযোগ দায়ের করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, যেকোনো সময় বিবাদীরা তার পরিবার ও সম্পত্তির ক্ষতি করতে পারে।
অভিযোগ পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুইপক্ষকে জমির কাগজপত্র সহ থানায় ডাকেন। আনছারুল হক তার সম্পত্তির কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হলেও অভিযুক্তরা থানায় আসেনি।
ভালুকা থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।