|

ফোর লেনে ভালুকাবাসীর গলার কাঁটা রোড ক্রসিং

প্রকাশিতঃ ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ২৩, ২০১৮

মো. আসাদুজ্জামান সুমন: আওয়ামী সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের মাঝে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইশতেহার ছিলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ল চার লেনে উন্নীত করা। কাজটা একটু বেশি সময় ব্যায় করে হলেও শেষ হয়েছিলো সফলভাবেই। কিন্তু এই ফোর লেনে যথেষ্ট রোড ক্রসিং বা ইউটার্ন না থাকায় এই উন্নয়ন যেন ভালুকাবাসীর জন্য গলার কাঁটায় রুপান্তরিত হয়েছে।
যথেষ্ট রোড ক্রসিং না থাকায় কিছু স্থানে ঘুরেতে হয় ৫/৬ কিঃমিঃ। যার ফলে সময় বাঁচাতে যানবাহন উল্টো পথেই চলছে না অহরহ ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। প্রতিদিন সময় বাঁচাতে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে সাধারণ যাত্রী, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, বয়োবৃদ্ধসহ নারী পুরুষ। উল্টো পথে গাড়ি না চালানোর জন্য ইতিমধ্যে মাইকিং করেছে ভালুকা মডেল থানা ট্রাফিক বিভাগ। কিন্তু নাভিঃশ্বাস যুক্ত এই ভোগান্তির আইন মানছেই না ভালুকাবাসী। কোথাও কোথাও নিজেরাই রাস্তার ডিভাইডার কেটে তৈরি করে নিচ্ছে রোড ক্রসিং। সেই রোড ক্রসিংগুলোতে কোন দিক নির্দেশনা না থাকায় ওইসব স্থান পরিণত হয়েছে মৃত্যুকূপে।
মহাসড়কের ভালুকা অংশে জৈনা বাজার হতে নিশিন্ধা পর্যন্ত যথেষ্ট রোড ক্রসিং না থাকায় কিছু স্থানে ঘুরেতে হয় ৫/৬ কিঃমিঃ। শিল্পাঅঞ্চল ভালুকায় এত কম ইউটার্ন থাকায় শুধু শিল্পপতিরাই হতাশ হননি সাধারন মানুষগুলো পরেছেন চরম বিপাকে।
সরজমিন ঘুরে এসব এলাকায় দেখা যায় এর বাস্তব চিত্র। ইউটার্ন নিতে কিছু কিছু স্থানে একটি গাড়ি অথবা হুন্ডাকে ঘুরে আসতে হয় ৪/৬ কিঃমিঃ। বাধ্য হয়ে সময় ও জালানি খরচ বাঁচাতে আইন অমান্য করে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে প্রায় সবাই। এ বিরম্ভনার অতি দ্রুত সমাধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিবাদ করছেন ভালুকার বহু জনগন।
ভালুকার অংশে মাস্টারবাড়ি, আমতলি, সোনারবাংলা স্কুলের সামনে, মেহেরাবাড়ি, হাজিরবাজার, ওয়াবদার মোড়, ভালুকা থানার মোড়, খোজিবাড়ি মোড়, বাঘের বাজার মোড়,ভরাডোবা এতিমখানার সামনে, নিশিন্ধা বাজার ও বগার বাজার এলাকায় রোড ক্রসিং বা ইউটার্ন নির্মাণ খুব জরুরী। পার্শ্ববর্তী উপজেলা ত্রিশাল ও শ্রীপুরে যথেষ্ট রোড ক্রসিং থাকলেও শিল্পাঞ্চাল ভালুকা কেন এত কম রোড ক্রসিং তা সাধারন জনগনের বোধগম্য নয়। শিল্পাঞ্চাল ভালুকায় যে পরিমান রোড ক্রসিং দেওয়া আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। জৈনা বাজার হতে নিশিন্ধা পর্যন্ত উল্যেখিত স্থানে ক্রসিং দেওয়া হলে ভালুকার জনগনের দূর্ভোগ কমবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
বাসট্যান্ড থেকে উল্টো পথে মেজরভিটা যাওয়া রিক্সাচালক ফিরুজ মিয়া বলেন, বাজার থেকে মেজর ভিটা যাত্রী নিয়ে যেতে হলে আমাদের হৃদয় সুপার মার্কেটের সামনে থেকে ঘুরে আসতে হয়। তাই উল্টো পথে যাচ্ছি। বৈশাখী হোটেলের সামনের রোড ক্রসিং অজ্ঞাত কারনে ট্রাফিক পুলিশ বন্ধ করে রেখেছে প্রায় ১ বছর যাবৎ। বাসট্যান্ড এলাকার বৈশাখী হোটেলের সামনের রোড ক্রসিং বন্ধ থাকায় প্রায় সবগুলো যানবাহনই চলছে উল্টো পথে অর্থাৎ সরকারী বালিকা স্কুলের সামনের রোড ক্রসিং দিয়ে।

 

Print Friendly, PDF & Email