|

নেত্রকোনায় পুলিশের শরীরে ব্যাগভর্তি মলমূত্র ছুড়ে মারলো আসামি

প্রকাশিতঃ ১০:২৪ অপরাহ্ণ | মে ০৪, ২০১৮

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরে শহরের বিভিন্ন বাসা-বড়িতে চুরি, মাদকসেবন ও মাদক ব্যবসায় জড়িত আলম মিয়া (৩২)। তার নামে জেলার বিভিন্ন থানায় দেড় ডজন মামলা রয়েছে। শহরবাসীর কাছে রীতিমতো আতঙ্কের নাম আলম। তাকে ধরতে গিয়ে প্রতিবারই ব্যতিক্রম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় পুলিশ সদস্যদের।

এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে এ যাত্রায় পুলিশের ওপর মলমূত্র ছুড়েও রক্ষা হয়নি তার। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ শহরের জয়নগর এলাকায় চুরির প্রস্তুতিকালে আলমকে আটক করে। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে ২৩০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আলম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বাসা-বড়িতে চুরি, মাদকসেবন ও মাদক ব্যবসা করে আসছে। তার নামে নেত্রকোনা মডেল থানায় সাতটিসহ জেলার বিভিন্ন থানায় অন্তত দেড় ডজন চুরি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। ওইসব মামলার আসামি হয়েও থেমে নেই সে!

বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে শহরের জয়নগর আধুনিক সদর হাসপাতাল রোড এলাকায় একটি বাসায় চুরির প্রস্তুতিকালে তাকে পুলিশ আটক করে। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে ২৩০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়। তবে তাকে আটক করতে গিয়ে আবারও তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলম চোরাকে রাতে ধরতে গেলে তিনি সকল পুলিশের শরীরে ব্যাগভর্তি মলমূত্র ছুড়ে মারেন। এতে অভিযান দলে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত হোসেন, আব্দুল জলিল, তপন বাকালিসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের শরীর ও কাপড় নোংরা হয়ে যায়। একপর্যায়ে কুখ্যাত ওই চোরাকে ২৩০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেফতার করা হয়। এসময়ও সে শক্ত কাঠের লাঠি দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। পরে মানবিক দিক বিবেচনায় আলমের শরীরের মলমূত্র পরিষ্কারের জন্য গোসলে করিয়ে নিজের ব্যবহৃত শার্ট ও লুঙ্গি পরিয়ে দেয়া হয়েছে।

ওসি বোরহান উদ্দিন আরও জানান, আলমের নামে থানায় নতুন করে আরও একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email