কুকুর হত্যার অভিযোগে সেই ছিদ্দিকের ছয় মাসের কারাদণ্ড
প্রকাশিতঃ ৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ | মে ১১, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্ট, ভালুকার খবর: চৌদ্দটি কুকুর ছানা ও দুটি মা কুকুরকে পিটিয়ে মাটি চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনে ঢাকায় এক নিরাপত্তাকর্মীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
দণ্ডিত মো. ছিদ্দিক (৪৫) রাজধানীর রামপুরার বাগিচারটেক কল্যাণ সমিতির একজন নিরাপত্তাকর্মী। ভোলা জেলার চরফ্যাশনের ওসমানগঞ্জের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে তিনি।
আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাকে পলাতক দেখিয়ে বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার মহানগর হাকিম মোহা. আহসান হাবীব।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি ছিদ্দিককে ২০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও সাত দিনের সাজা দিয়েছেন বিচারক।
আদালতের পেশকার শিশির হালদার বলেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ ধরনের মামলা অথবা রায় এটাই প্রথম।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে বাগিচারটেকের একটি খালি প্লটে দুটি মা কুকুরকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন ছিদ্দিক। পরে ১৪টি বাচ্চাসহ ওই দুটি প্রাণিকে বস্তায় ভরে মাটিচাপা দেন তিনি।
ওই ঘটনায় পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল রামপুরা থানায় ১৯২০ সালের প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনের ৭ ধারায় এ মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে রামপুরা থানার এসআই নাছির উদ্দিন গতবছর ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল আসামি সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলার বিচারকাজ চলাকালে বাদীপক্ষে মোট ৬ জনের সাক্ষ্য শোনেন বিচারক।
আসামির আইনজীবী কাজেম আলী দুলাল রায়ের পর বলেন, “আসামিপক্ষকে না জানিয়ে অন্য একটি আদালত থেকে মামলার নথি বিচারের জন্য এ আদালতে আনা হয়। মামলার সাক্ষীদের জেরার সুযোগ, যুক্তিতর্কের শুনানির সুযোগ না দিয়েই অন্যায়ভাবে এ রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।”