ভালুকায় সেহরী ইফতার তারাবীহর সময় লোডশেডিং: জনদুর্ভোগ চরমে
প্রকাশিতঃ ১:৫৩ পূর্বাহ্ণ | মে ২৯, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্ট, ভালুকার খবর: রমজানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের সব্বোর্চ ব্যবস্থা থাকার পরও স্বস্তিতে নেই ভালুকার গ্রাহকরা।রোজা আসার পর থেকে প্রায়ই হচ্ছে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং । অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইফতার,সেহরী ও তারাবীহ নামাজের সময়ই হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার তারারীহ নামাজের সময় বিদ্যুৎত নাই, এসেছে নামাজের পর আবার রাত্র ২টায় বিদ্যুৎ চলে যায় এসেছে বুধবার দিন দুপুর ১টায়। বুধবারেও ভালুকার অনেক এলাকায় ইফতারের সময় বিদ্যুৎ ছিলো না বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা। বুধবার রাত্রে তারাবীহ নামাযের অর্ধেক শেষ হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, আসে রাত্র ১২টার দিকে। বৃহস্পতিবার দিনও ভালুকার পশ্চিম অঞ্চল দিনে ও রাতে অসংখ্যবার লোডশেডিং হয়েছে। শুক্রবারেও জুম্মার নামাযে বাদ যায়নি লোডশেডিং নামাযের মাঝখানে ১.৫০মিনিটে বিদ্যুৎ চলে যায়, আসে ১মিনিট পর, আবার ২টায় বিদ্যুৎ চলে যায়, শনিবার রবিবারের একই অবস্থা প্রায়। সবমিলিয়ে রমজান মাসে জনদুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
ভালুকা পৌরসভার বাসিন্দা মোঃ শাহাবউদ্দিন আহম্মেদ জানান, বিদ্যুৎতে খুবই ডিষ্টার্ব করছে । যায় আর আসে। গতকালকে সেহরী ও ইফতারের বিদ্যুৎ ছিলো না। খুবই দুর্ভোগে আছি।
মল্লিকবাড়ী চায়ের দোকানদার আবুল কাশেম বলেন, সেহরীর সময় মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে সেহরী খেয়েছি । খুবই কষ্টে আছি ভাই । বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করি অন্তত রোযার মাসে আমাদের ঠিকমত বিদ্যুৎ দিতে পারে না সরকার?
বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী জিন্নত আলী জানান, ধিক্কার জানাই বিদ্যুৎতের এসব কর্মকর্তাদের যারা পবিত্র রমজানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারে না। এছারা চাঁনপুরের আঃ আউয়াল,পানিভান্ডার মজিবর মেম্বার,নয়নপুরের কামাল হোসেন তারাও জানান, রমজানে বারবার বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ে তাদের ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে।
ভালুকা পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারোয়ার হোসেন জানান, লোডশেডিং আমাদের এখান থেকে হয় না। ময়মনসিংহ থেকে হয়।তবে তিনদিন যাবত একটি ভিভিআইপি প্রোগামের জন্য লোডশেডিং হচ্ছে।