|

আত্মহত্যা করেছেন ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল

প্রকাশিতঃ ১১:৫০ অপরাহ্ণ | জুন ০১, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্ট, ভালুকার খবর:  দুর্বৃত্তের গুলিতে নয়, নিজের অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি নাজমুল আলম! পরিবারের লোকজন ঝামেলায় পড়তে পারেন ভেবে আত্মহত্যায় ব্যবহূত অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন নাজমুলের মা নাজমা খাতুন।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন। এ সময় নাজমুলের বাবা, মা, বোন ও স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। নাজমুল মারা যাওয়ার মাত্র তিন দিন আগে পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন। তিনি গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় তার নববিবাহিতা স্ত্রী ঊর্মি খাতুনও ওই কক্ষেই ছিলেন। স্ত্রীর সামনেই কিভাবে নাজমুল নিজের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি ছুঁড়লেন, সে প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। স্ত্রী ঊর্মি খাতুন ও পরিবারের অন্য সদস্যরা এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ-হরিপুর ইউনিয়নের ফরাজীপাড়ার নিজ বাড়ির শয়নকক্ষে মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটায় ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল আলমের (২৭) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নাজমুলের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে এসপি মেহেদী হাসান বলেন, আত্মহত্যা ঘটনার পর মা নাজমা খাতুন ছেলের ঘরে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান ও একটি শটগানের গুলি দেখতে পান।

ঝামেলা হতে পারে ভেবে এগুলো তিনি বাড়ির পাশে লুকিয়ে রাখেন। নাজমুল কেন, কী কারণে হতাশায় ছিলেন, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাজমা খাতুন বলেন, ‘এটা জানি না। জানলি পারে ব্যাটাক কাছে করি রাখতাম।’ এর আগে কখনো ছেলের কাছে অস্ত্র দেখেছিলেন কি না, এমন প্রশ্নে বাবা-মা দুজনই বলেন, ‘না, কোনো দিন অস্ত্র দেখিনি।’

এসপি মেহেদী হাসান বলেন, ‘অস্ত্র দুটি অবৈধ। ঘটনার পর একটা তাজা গুলি উদ্ধার হয়েছিল। নাজমা খাতুনের দেখানো জায়গা থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান ও তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। ওয়ান শুটারগানেই নাজমুল আত্মহত্যা করেছেন। সেটার ভিতরে গুলির খোসা এবং রক্তের দাগ রয়েছে।’ হতাশাটা কী ছিল, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসপি বলেন, ‘তিন দিন পর জানতে পারবেন।’ নাজমুল আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email