|

ভালুকা আসনে আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে পিন্টুর জনপ্রিয়তাই প্রধান ফ্যাক্টর

প্রকাশিতঃ ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ | জুন ২৩, ২০১৮

মো. আরিফ রব্বানীঃ  মো. রফিকুল ইসলাম পিন্টু যিনি আসলেই সাধারণ মানুষের বন্ধু, বহুগুণে গুণান্বিত একজন সাদা মনের মানুষ।তিনি ভালুকা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক, তরুণ রাজনীতিবিদ, সহজ, সরল, নিরহংকারী ও ব্যতিক্রমী একজন রাজনীতিবিদ। যিনি কাজ করে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের জন্য, রাজনীতি ভোগের নয়, ত্যাগের। রাজনীতি করে মানুষকে দিতে হয়, নিতে নয় এর এক জ্বলন্ত প্রমাণ তিনি।

ময়মনসিংহের ভালুকায় তিনিই একজন অন্যরকম উচ্চমনা সাধারণ রাজনীতিবিদ। তার ব্যক্তি ইমেজ সাধারণ মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। যার ফলে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভালুকার সংসদীয় আসনের একজন জনপ্রিয় ও ক্লীন ইমেজের প্রার্থী। ভালুকা সংসদীয় আসনে তিনিই এখন নির্বাচনী আলোচনায় ফ্যাক্টর হয়ে আছেন।

রফিকুল ইসলাম পিন্টু  ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে রাজনীতিকে তরান্বিত করে উপজেলাটিকে  আওয়ামীলীগের ঘাটিতে পরিনত করতে ব্যাপক শ্রম রয়েছে তাঁর।

আ’লীগের দূর্দিনে  ছাত্রলীগের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে গিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন বেশ কয়েকবার। তার নেতৃত্বে ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি খালেদা-নিজামীর জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম সফল করেছিলেন নিজের জীবন বাজী রেখে।

ছাত্রলীগের একজন সফল রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তখন তাকেই বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করেছিলেন স্বৈরাচারী জোট সরকার । ছাত্রলীগের একজন সাহসী কর্মী হিসেবে রাজপথ দখলে রেখেছিলেন তৎকালীন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পিন্টু। জোটসরকারের দুঃশাসন মোকাবেলায় তিনি ছিলেন রাজপথের এক মূর্তমান আতংক। ভালুকার মাটি ও মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার আদেশে তিনি নিরলস ভাবেই ছিলেন রাজপথের সাহসী একজন সিপাহী।

বহু জেল-জুলুম অত্যাচারিত হওয়ার পুরষ্কার হিসেবে তাঁকে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন ব্যালটের মাধ্যমে।সাধারণ ভোটাররাও তাঁর ত্যাগের প্রতিদানে বিপুল ভোটে উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন। সাধারণ মানুষের বিপদের কথা শুনলে লুঙ্গী পড়েও ছুটে যান বিপদগ্রস্থ ব্যাক্তিটির পাশে দাঁড়াতে, চেষ্টা করেন তাঁর সাধ্যমত কিছু করার।

সারাদেশে রফিকুল ইসলাম পিন্টুর মত সৎ-সাহসী নেতাদের পরিশ্রমের ফসলেই ক্ষমতায় আছেন বর্তমান দল আওয়ামীলীগ। কিন্তু কি লাভ হলো তাতে এই ত্যাগীদের। আজ ত্যাগীদের কষ্টে উপার্জিত ফসল ভোগ করছেন সুবিধাবাদী হাইব্রিডরা। হাইব্রিড নেতাদের তৈলবাজের কারণে পিন্টুর মত ত্যাগীরা কোণঠাসা হয়ে আছেন।

পিন্টু ভালুকার একজন জনপ্রিয় নেতা তবে বসন্তের কোকিলদের চক্রান্তে বারবার তিনি পরাজিত হচ্ছেন। বঞ্চিত হচ্ছেন দলীয় সুযোগ-সুবিধাদি সহ সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে তিনি বসন্তের কোকিলদের চক্রান্তে কোণঠাসা হয়ে আছেন।  জনপ্রিয় নেতা হওয়ার পরেও মনোনয়ন পাবেন কিনা এই নিয়ে সংশয়ে আছেন ভালুকার আপামর জনতার।

ভালুকাবাসী বসন্তের কোকিল ও সুবিধাবাদীদের চান না, তাঁরা চান যাকে ডাকলে সর্বদাই পাওয়া যায় এমন একজন সহজ সরল মানুষ কে। সেই হিসেবে রফিকুল ইসলাম পিন্টুই সাধারণ জনতার  সর্বোচ্চ  প্রত্যাশিত প্রার্থী । তিনি দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ সাধারণ জনতার কল্যাণে সব সময়ই পাশে থাকেন।

ভালুকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে রফিকুল ইসলাম পিন্টু ভালুকার একজন কর্মী বান্ধব ও জন বান্ধব নেতা। যে কোন সময় তাকে পাশে পাওয়া যায়। পিন্টুর মতো বিশ্বস্ত নেতার মাধ্যমেই আগামী দিনে ভালুকার কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্পন্ন করে দেশ রত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাসহ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব। আগামী দিনে ভালুকা সংসদীয় আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে রফিকুল ইসলাম পিন্টুর ক্লীন ইমেজই ফ্যাক্টর বলে জানান উপজেলার সিংহভাগ নেতাকর্মীরা।

Print Friendly, PDF & Email