ভালুকার সারোয়ারকে বাচাঁতে এগিয়ে আসুন
প্রকাশিতঃ ১১:৫৬ অপরাহ্ণ | জুন ২৬, ২০১৮

এম. এ. মালেক খান উজ্জল, ভালুকার খবর: ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা গ্রামের নিন্ম মধ্যবিত্ত মৃত- কেরামত আলী ও মৃত-হালিমা খাতুনের ৬ মেয়ে ও ৩ ছেলের সংসারে মো. সারোয়ার হোসেন ৭ম। সে চলতি বছর মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে। দারিদ্রতার কারণে এ পরিবারটির আর কোন সদস্যই উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ হয়নি।
লেখা-পড়ার প্রতি অতি আগ্রহ ও মেধাবী হওয়ার কারনে বাবা-মা ও ভাই বোনদের সহায়তাই মো. সারোয়ার হোসেন ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২০০৮ সালে এসএসসি, ভালুকা ডিগ্রী কলেজ হতে ২০১০ সালে এইচএসসি, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়-গাজীপুর হতে একাউন্টিং এ ২০১৫ সালে অনার্স ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০১৮ সালে মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে।
গত প্রায় আড়াই বছর পূর্বে থেকে মোঃ সারোয়ার হোসেন কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়। কিন্ত অর্থাভাবের কারনে প্রথমেই সঠিক চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয় করতে না পারার কারনে বর্তমানে তার দুটি কিডনীই নষ্ট হয়ে গেছে। পৈত্রিক সহায় সম্পত্তি বিক্রি ও আত্বিয়- স্বজনদের সহযোগীতায় এ যাবত তার চিকিৎসা চালিয়ে আসছে। বর্তমানে সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (রতন) এর তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ডাক্তার বলেছেন, কিডনি প্রতিস্থাপন ব্যতিত অন্য কোন উপায়ে তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। সারোয়ার হোসেনকে তার সহোদর বিধবা বড় বোন লাভলী আক্তার (৪২) একটি কিডনি দান করতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। এখন শুধু প্রতিস্থাপনের জন্য আনুসাংগিক খরচের প্রয়োজন। যা বহন করা তার ও তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই মেধাবী শিক্ষিার্থী মোঃ সারোয়ার হোসেনকে বাঁচাতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিত্তশালীদের প্রতি সাহায্যের আবেদন করেছেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-সঞ্চয়ী হিসেব নম্বর-০২০০০১২১৭৮১৯৪, অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড, ভালুকা শাখা, ময়মনসিংহ। বড়ভাই মোঃ দেলুয়ার হোসেন (দুলাল) মোবাইল-০১৭১২-৪৬০৮৪১।