|

ভালুকায় বাঁশি বিক্রি করেই দিন চলে কাদিরের

প্রকাশিতঃ ৭:৩৩ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৯, ২০১৮

আতাউর রহমান তরফদার, ভালুকার খবর: ময়মনসিংহের ভালুকায় হাটে বাজারে নিজ হাতে তৈরি করা বাঁশি বিক্রী করেই জীবন চালায় আঃ কাদির (৫৫)। এক সময় গফরগাঁও উপজেলার কুৎসাপুর গ্রামে তাদের বাড়ী ছিল।  ছোট বেলা থেকেই বাঁশি বাজানো আর বাঁশি তৈরীর কাজের সাথে সাথে সম্পৃক্ত কাদির।

ঘুরে ঘুরে হাটে বাজারে বিভিন্ন শহরে বাঁশি বিক্রি করেন। প্রতিটি বাঁশি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। সারদিনে তাঁর ৫ থেকে ১০ টি  বাঁশি বিক্রি হয়। বাঁশি বিক্রির সামান্য টাকায় কোন রকমে খেয়ে পরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেঁচে রয়েছেন তিনি। তাছাড়া সে ভালুকার বাইরে, ময়মনসিংহ,নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল,গাজীপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় ফেরি করে বাঁশি বিক্রি করেন।

কাদিরের সাথে কথা হলে  তিনি বলেন, প্রায় ৪০ বছর যাবৎ বাঁশি তৈরী করে হাটে বাজারে বিক্রি করে যে সামান্য টাকা পাই তাতেই কোন রকমে সংসার চলে যায় । নিজের জমি বাড়ী না থাকায় বর্তমানে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের আমতলী নামক স্থানে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। অভাবের তাড়নায় ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে পারেননি। মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে আলামীন ও মোর্সালিন গাড়ি চালক তারা যে যার মত চলে। সারাদিন ঘুরে ঘুরে বাঁশি বিক্রী করে রাতে বাড়ী ফেরেন। এখন আগের মত শরীরে তাগদ না থাকায় বেশী দুর যেতে পারেন না। তাই বেচা কেনা অনেক কমে যাওয়ায় আয় রোজগার কমে গেছে। তারপরও বাঁশিই তার জীবনে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email