|

ভালুকায় অল্প দিনেই সফল ওসি ফিরুজ তালুকদার

প্রকাশিতঃ ৯:১৮ অপরাহ্ণ | জুলাই ২৪, ২০১৮

প্রভাষক আনোয়ার হোসেন তরফদার, ভালুকার খবর:  এবছরের ৩ই মে বৃহস্পতিবার ভালুকা মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেছিলেন মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা ফিরুজ তালুকদার বিপিএম পিপিএম বার। তাঁর এই অল্প কয়েক দিনের তৎপরতায় ভালুকার ইয়াবা-ফেন্সিডিলসহ সব ধরনের মাদক সাম্রাজ্যে ফেলে দিয়েছে হাহাকার। টর্নেডোর ন্যায় লন্ডভন্ড করে দিয়েছেন উপজেলার সবগুলো মাদকজোন।

ভালুকা মডেল থানায় যোগদানের পর মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি পরিচিত হয়েছেন মূর্তমান এক ‘আতঙ্ক’ হিসেবে। অপরাধীদের কাছেও যেন এক ‘যমদূত’। বাংলাদেশ সরকারের সাহসী পদক্ষেপ মাদকের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে বীর সেনানীর ন্যায় সফল ভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছিন প্রবিন এই পুলিশ কর্মমর্তা। ‘বন্দুকযুদ্ধ’ কিংবা দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার মুরাদ আকন্দ, মাদক সম্রাট জালাল উদ্দিন ও মিজানুর রহমান মিজান। ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছেন উপজেলার সবগুলো মাদকের আখড়া । অস্ত্র উদ্ধারেও দেখিয়েছেন কৃতিত্ব । মাত্র তিন মাসেই গোটা ভালুকায় ফেলে দিয়েছেন হৈচৈ। অপরাধীদের কাছে যেমন আতঙ্ক ঠিক তেমনই সাধারণ মানুষের জন্য আন্তরিক একজন পুলিশ অফিসার ।

ফিরুজ তালুকদার আল্পদিনের কর্মগুণে থানা এলাকার জনপ্রতিনিধি প্রশাসন ও সংবাদ কর্মীদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই কুড়াননি, শিক্ত হয়েছেন হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায়। প্রভাবশালী অন্যায় তদবিরবাজদের ‘তোয়াজ’ না করা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুসারী পেশাদার এই পুলিশ কর্মকর্তা এরই মাঝে ওসি হিসেবে জেলায় শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকৃতির মুকটটিও পড়েছেন মাথায়। উপজেলার যেসব স্থানে এক সময় হাত বাড়ালেই মিলতো ইয়াবা-ফেন্সিডিলসহ সব ধরনের মাদক সেই রাজ্যে এখন শুধুই হাহাকার। মাদক বিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে ভালুকা থেকে সটকে পরেছে মাদকব্যবসায়ী রাঘব-বোয়ালরা। দলীয় সাইবোর্ড গলায় ঝুলিয়ে লম্ফ-ঝম্ফ স্টাইলে করা মাদক ব্যাবসায়ীরা নড়েচড়ে বসেছেন। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছেন মাদকসেবীদের পরিবার।

ভালুকার খবরের ধারাবাহিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদক বিরোধী চলমান সাঁড়াশি অভিযানে ভালুকা এখন মুটামুটি মাদকমুক্ত। আড়ালে-আবডালে কিছু মাদক মাদক বিক্রী হলেও দামে রেকর্ড গড়েছে। ২৫০ টাকার ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে ৪শত থেকে ৫শত টাকায়। ৬শত টাকার ফেন্সিডিল বিক্রী হচ্ছে হাজার থেকে ১২শত টাকায়। ৪শত টাকার বিয়ার বিক্রী হচ্ছে ৬শত থেকে ৮শত টাকায়। গাঁজাও বিক্রী হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। মাদকসেবীরা বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করতে রাজি হলেও সামান্য মাদক সংগ্রহ করতে ২ থেকে ৩ঘন্টা সময় ব্যায় করে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে তাদের। অথচ এক সময় ভালুকায় মাদক ছিল মামুলী ব্যাপার। আর এখন ‘সোনার হরিণ’। অনেকেই মাদক সেবন করতে না পেরে ‘মরণ’ এই নেশা ছেড়ে দেওয়ারও ভাবনা চিন্তা করছেন। আর নিরবিচ্ছিন্ন অভিযানের মাধ্যমে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন ওসি ফিরুজ তালুকদার।

তাঁর সাথে কথা হলে ভালুকার খবরকে বলেন, ‘আমি পার্শবর্তী ত্রিশাল থানায় ওসির দায়িত্ব পালন করেছি ৫বছর, আমার চাকুরির বয়স শেষের দিকে চেষ্টা করবো চাকুরীরর শেষ সময়টায় ভালুকাবাসীর জন্য ভালো কিছু করে যেতে। আমি এই থানা এলাকার সকল জনপ্রতিনিধি সাংবাদিক সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সহযোগীতা ও দোয়া চাই’।

Print Friendly, PDF & Email