|

নতুন কলরেটে অতিষ্ঠ গ্রাহক

প্রকাশিতঃ ১১:১১ পূর্বাহ্ণ | আগস্ট ১৬, ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট, ভালুকার খবর: রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকার ভাড়া বাসায় বন্ধুদের নিয়ে থাকেন শিহান মাহমুদ সজল। বিএসসি পাশ করে এখন চাকরির সন্ধানে নেমে পড়েছেন।

চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি দুই জায়গায় টিউশনি করেন। টিউশনির সেই টাকা দিয়েই তার জীবন চলে। ছাত্রদের পড়িয়ে কাল বাসায় ফিরে গ্রামীণফোনের ৫০ টাকার কার্ড রিচার্জ করেন সজল। গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলবেন বলে অন্য দিনের ন্যায় ২৪ মিনিট কেনার চেষ্টা করেন।

কিন্তু এ কী! *১২১*৪*৩# ডায়াল করে ২৪ মিনিটের জায়গায় সজল পেলেন ১৬ মিনিট! টাকাও কেটে নিয়েছে বেশি! আগে যেখানে ৮টাকা ১৬ পয়সায় কেনা যেত ২৪ মিনিট, সেখানে এখন ১৬ মিনিট কিনতে গ্রামীণফোন কেটে নিচ্ছে ৯টাকা!

অভিন্ন কলরেটের এই খপ্পরে পড়ে সজলের মতো ভ্যাবাচ্যাকা খাচ্ছেন দেশের কয়েক কোটি গ্রাহক। মোবাইল অপরারেটরগুলোর ওপর ইতোমধ্যেই ক্ষোভ ওগরাতে শুরু করেছেন তারা। এমন বাড়াবাড়িতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহক। মোবাইল অপারেটরগুলোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে অনেকে অকথ্য ভাষায় গালিও ছুঁড়েছেন।

আগে একই অপরারেটরের দুইজন গ্রাহক প্রতি মিনিট ২৫ থেকে ৩০ পয়সায় কথা বলতে পারতেন। কিন্তু অভিন্ন কলরেট চালুর পর মিনিট প্রতি কেটে নেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫৪ পয়সা পর্যন্ত। মানে আগের রেটের প্রায় দ্বিগুণ।

তবে কলরেট নির্ধারণে অপারেটরদের কিছুই করার নেই বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামীণফোনের এক সিনিয়র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এটি করতে (কলরেট বাড়াতে) বাধ্য হয়েছি।’

এ ব্যাপারে কোম্পানির পক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বিজ্ঞপ্তি ও মুঠোফোনে গ্রাহকদের বার্তাও পাঠানো হয়েছে বলে জানান গ্রামীণফোনের ওই কর্মকর্তা।

শিগগিরই অভিন্ন কলরেট বাতিল করে পূর্বের রেটে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন রাফি আল রাজি নামে এক বাংলালিংক গ্রাহক। তার ভাষ্য, ‘কম খরচে কথা বলার জন্যই আমি, আমার পরিবার ও নিকট আত্মীয় একই অপারেটরের (বাংলালিংকের) সিম ইউজ করি। কিন্তু হুট করে কলরেট বদলে ফেলায় এখন নিমিষেই ব্যালান্স শূন্য হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমার মতো স্বল্প আয়ের মানুষদের মোবাইলে কথা বলা বন্ধ করে দিতে হবে।’

সুত্র: নিউজ২৪বিডি

Print Friendly, PDF & Email