|

নান্দাইলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

প্রকাশিতঃ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্ট, ভালুকার খবর: ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ছে। মেঝেতে উচুঁ-নিচু গর্ত। দরজা-জানালা ভাঙ্গা। দেয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। রডগুলো বাইরে বেরিয়ে এসেছে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। ভেতরের অবস্থা অন্ধকার ও স্যাঁতসেঁতে। এমনি একটি ভবনে চলছে কুচুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যালয়টির অবস্থান উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নে কুচুরী গ্রামে। সরজমিনে দেখা যায়, তিন রুমের এই ভবনটি দিয়ে চলছে পাঠদান কার্র্যক্রম। স্থান সঙ্কুুলান না হওয়ায় এক কক্ষে দুটি ক্লাস এক সঙ্গে দেয়া হচ্ছে।

ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৯৩৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার সময় ৫১ শতাংশ ভূমিতে একটি টিনশেড ঘরে প্রথমে পাঠদান শুরু হয়। কুচুরী গ্রামের ছমির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি জায়গাসহ ঘরটি নিজ অর্থে তৈরি করে দেন। পরে ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে একতলা বিশিষ্ট একটি পাকাভবন নির্মিত হয়। বর্তমানে প্রায় তিন শ’ শিক্ষার্থী এখানে শিক্ষাগ্রহণ করছে। কয়েকদিন আগে ছাদের প্লাস্টার খসে শরীরে পড়ে দুই ছাত্রী আহত হওয়ার পর অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানায় কয়েকজন সহকারী শিক্ষক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হালিমা আক্তার জানান, স্কুলের জরাজীর্ণ ভবনের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দফতর অবহিত করার পরেও কোন কাজ হয়নি। এই বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক বলেন, বিদ্যালয়টির জন্য একটি নতুন ভবন জরুরী। বিষয়টি একাধিকবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে নতুন ভবনের কাজ শুরু করা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email