|

গফরগাঁওয়ে সিনেমাকে হার মানিয়েছে প্রবাসীর স্ত্রীর কাণ্ড

প্রকাশিতঃ ১:৪২ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮

গফরগাঁও প্রতিনিধি: সৌদি প্রবাসী স্বামীর কাছ থেকে টাকা আদায় করতে সন্তানসহ নিজেকে অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন এক স্ত্রী। থানায় জিজ্ঞাসাবাদে এসব বিষয় প্রকাশ পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এ ঘটনা ঘটে।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (৪০) তার আড়াই বছর বয়সী ছেলে মোহাম্মদ আলীকে সঙ্গে নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাসলিমা তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে মেয়ে ঝুমা আক্তারকে ফোন করে জানান, গফরগাঁও মধ্যবাজারের অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফেরার সময় মাইক্রোযোগে এসে অজ্ঞাত এক পুরুষ ও এক নারী তাসলিমা আক্তার ও তার সন্তানের নাকে ওষুধ মিশ্রিত রুমাল চেপে অজ্ঞান করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা ছেলেসহ তাকে সেখানে আটকে রেখে মারধর করছে এবং ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

ওই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে তাসলিমার মেয়ে ঝুমা আক্তার গফরগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে তাসলিমা আক্তারের মোবাইল ট্র্যাক করে উদ্ধারের চেষ্টা চালান।

কিন্তু পরদিন বুধবার দুপুরে তাসলিমা আক্তারকে গফরগাঁও মধ্যবাজারে ভারসাম্যহীন অবস্থায় পাওয়ার পর তাকে হেফাজতে নেয়। পরে তাসলিমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পৌর শহরের চর ষোলহাসিয়া কড়ইতলা এলাকায় খালাতো ভাই আবুল হাসেমের বাড়ি থেকে তার সন্তানকে উদ্ধার করা হয়।

থানা হেফাজতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাসলিমা আক্তার জানান, সৌদি প্রবাসী স্বামী বাচ্চু মিয়া বিদেশ থেকে তাসলিমার নামে সাত-আট লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাসলিমা টাকাগুলো খরচ করে ফেলেছেন। বাচ্চু মিয়া বিষয়টি জানতে পেরে ‘দেশে এলে সব টাকার হিসাব দিতে হবে’ বলে তাসলিমাকে চাপ দিচ্ছিলেন।

এতে দিশাহারা হয়ে স্বামীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতে তাসলিমা অপহরণ ও ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের নাটক সাজিয়েছেন।

গফরগাঁও থানার ওসি আবদুল আহাদ খান বলেন, তাসলিমা স্বীকার করেছেন প্রবাসী স্বামীর চাপে দিশেহারা হয়ে অপহরণের এই নাটক সাজিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email