|

ফেসবুক ব্যবহারে অপ্রাপ্তরা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে

প্রকাশিতঃ ৯:৩৪ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯

আনোয়ার হোসেন তরফদার, ভালুকার খবর: আজকে আধুনিক যুগে ফেসবুক একটা শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম, মানুষ সময় অসময়ে একটু অবসর থাকলেই ফেসবুকে যেতেই মন চায় আবার কেউ মনে করে অলস সময় কাটানোর একটি বড় মাধ্যম। আমি আপনি যেভাবে যেখানে যে অবস্থায় থাকি শুধু মন চায় ফেসবুক দেখতে এটা কে আয়না বলা চলে।

ফেসবুক আমাদের বিশ্বকে চিনতে খুব বেশি সাহায্য করছে আবার অনেক ক্ষেত্রে এর কুফলের কারনে মানুষের জীবন বিষাদময় হয়ে ওঠেছে আসলে এর কারণ হলো এই মাধ্যমে আছে অনেক স্বাধীনতা, আর এই স্বাধীনতার জন্যই ছোট বড় অপকর্ম গুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েই চলেছে।

দেখা যায় অনেক অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বিষয়ে গ্রুপ বা ফান পেইজ খুলে রেখেছে এখানে কতৃপক্ষের কোন নজরদারি খুব বেশি নেই বললেই চলে। ফেসবুকে যেকোন ব্যক্তি যে কারো নামে ফেক বা ভুয়া আইডি খুলতে পারছে বিশেষ কোন বিধি নিষেধ নেই আবার অনেকে অশ্লীল ছবি আপলোড দেয় এটা অনেক সময় মানুষের ইচ্ছা থাকেনা তারপরও দেখতে হয়, আবার অনেক সময় আইডি হ্যাক করে অনেক ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে যায় যাহা ব্যক্তির বা সমাজের অনেক সমস্যার কারণ হয়ে থাকে, আজকে আমরা লক্ষ্য করছি এই মাধ্যমের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি সাধিত করার চেষ্টা বারবার করে যাচ্ছে কিছু কুচক্রী মহল, তাই আজকে ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের রাষ্ট্রের কিছু কঠিন নিয়ম কানুন করতে হবে।

আজকে আমাদের ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়ার মান খারাপ হয়েই যাচ্ছে, ছাত্র ছাত্রীদের পরিক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো আজকের ফেসবুক। শিক্ষানুরাগীরা বলছেন শিক্ষার্থীদের অতিমাত্রায় ফেসবুক ব্যবহারে নেশায় মেতে উঠেছে আর তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পরছে। আজকে সমাজে সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে ফেসবুক আর এখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মধ্যে পরছে নারীরা ভুয়া আইডি ব্যবহার করছে যে যার মত করে নাই কোন নিয়ম কানুন।

আমরা আজকে যতটুকু উন্নতির শিখরে উঠেছি দেশ যতটুকু এগিয়ে চলেছে তা তথ্য প্রযুক্তির কারনে প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া দেশের উন্নতি হবেনা আমরা জানি, আজকে পৃথিবীর যত উন্নত দেশ আছে তারা সবাই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের কারনেই উন্নতিতে পৌঁছেছে, তাই আজকে আমাদেরও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার শিখে এগিয়ে যেতে হবে অনেক দুর। তাই আজকে আমাদের উচিৎ এর সঠিক ব্যবহার, এবং রাষ্ট্রের উচিৎ নজরদারি বাড়ানো, অভিভাবকদের সচেতন হওয়া নিদিষ্ট বয়স না হলে ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন না দেয়া। আসুন আমরা সচেতন হই এবং সরকার কে সঠিক তথ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই তাহলে হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

Print Friendly, PDF & Email