গফরগাঁওয়ে ঢিলেঢালা লকডাউনে বাড়ছে সংক্রমণের শঙ্কা
প্রকাশিতঃ ১২:১২ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ২১, ২০২০

তারেক সরকার, গফরগাঁও প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ঢিলেঢালা লকডাউনে বাড়ছে মারণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা। উপজেলার আভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে যানবাহন, হাট-বাজারগুলোতে কোথাও সামাজিক দূরত্ব নির্দেশ মানা হচ্ছে না। এ ছাড়া গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিএনজি, মাইক্রো, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স যোগে গফরগাঁওয়ে প্রবেশ করে বহু ব্যক্তি ও পরিবার। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা যায়, পৌর শহরের এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর করোনাভাইরাস শনাক্তের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোগীর বাসার আশপাশের ৬০টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, নার্সসহ ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় নির্বাহী কর্মকর্তা পৌর শহরকে লকডাউন ঘোষণা করেন।
অপরদিকে জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন। এতে সম্পূর্ণ উপজেলা লকডাউনের আওতায় আসে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে মানুষকে ঘরে রাখতে রাজনৈতিক ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় রাস্তায় যানবাহন এবং হাট-বাজারে মানুষের চলাচল অনেকটা কমে যায়। তবে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা দেখা যায়নি। নির্বাহী কর্মকর্তা শুধু লকডাউন করেই দায়িত্ব শেষ করেছেন।
কিন্তু গত দু-তিন দিন যাবত প্রশাসনের তৎপরতা কম থাকায় যান্তায় যানবাহন ও লোক জনের চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত কাচা বাজার ও ভোগ্য পণ্যের বাজার খোলা রাখার অনুমতি বাজারে তিল ধারনের জায়গা থাকে না। কিন্তু কোথাও মানা হয় না সামাজিক দূরত্ব। ফলে মরণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, মানুষকে ঘরে রাখতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত। তবে পুলিশি তৎপরতার পাশাপাশি জনসচেতনতা ছাড়া মানুষকে ঘরে রাখা কঠিন। পুলিশ জনসচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে।