|

ভালুকায় প্রস্তুত শেখ হাসিনার আরও ৮০টি উপহার

প্রকাশিতঃ ৪:২০ অপরাহ্ণ | জুন ১৮, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ভালুকার খবর: দুই শতাংশ জমির উপর নির্মিত দুইটি শোবার ঘর, রান্নাঘর ও বাথরুম। ইটের দেয়াল, উপরে টিনের চাল। রয়েছে একটি বারান্দাও। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান (২য় পর্যায়) উপলক্ষ্যে ভালুকায় এরকম তৈরি করা হয়েছে ৮০টি দৃষ্টিনন্দন ঘর। ‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ স্লোগানকে সামনে নিয়ে ভালুকা উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে সারাদেশে নির্মিত ৫৩,৩৪০ টি ঘরের ন্যায় ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় ২য় পর্যায়ে আরও ৮০ টি ঘর প্রস্তুত আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভোধনের অপেক্ষায়।

আগামী (২০ জুন) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর গণভবন থেকে উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উপজেলার মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের ভায়াবহ আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ১০ টি, হবিরবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াগাঁও আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ০১ টি, কড়াইতলি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ২০ টি, গৌরীপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ২৯ টি এবং ভালুকা ইউনিয়নের বাশিল আশ্রয়ণ কেন্দ্র্রে ২০ টি ঘর নির্মিত হয়েছে।

২য় পর্যায়ের এসব ঘর নির্মাণে ঘর প্রতি ব্যয় নির্ধারিত ছিল ১লক্ষ ৯০হাজার টাকা।

সুবিধাভোগীদের মাঝে এনিয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। যে জীবনের লক্ষ্য ছিলো কেবল-ই বেঁচে থাকা, শেখ হাসিনার উপহারে সে জীবন আজ দালান-কোঠায়, সংসার সাজায়।

সুবিধাভোগী শারীরিক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক জান্নাত হাসান বলেন, মা-বাবাসহ পরিবারের আশা ছিল নিজেদের একটা বসতঘরের। স্বপ্ন ছিল নিজের স্থায়ী ঠিকানার। তিন চার মাস আগে যা কল্পনাও করতে পারিনি, তা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। সারাজীবনের জন্য নিজের নামে জমিসহ নতুন পাকা বসতবাড়ি পাওয়ার আনন্দে জান্নাত আবেগ আপ্লুত।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাইন উদ্দিন জানান, ‘যাদের একটু মাথা গুজার ঠাই ছিলোনা তারা ভূমির মালিকানা সহ পাকা ঘর পাচ্ছে। প্রত্যেককে তার জমি ও ঘরের দলিল রেজিষ্ট্রি ও নামজারিও করে দেওয়া হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এটি একটি মডেল দৃষ্টান্ত।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুন জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, মুজিববর্ষে দেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। তাঁর উদ্যোগে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। একসঙ্গে এত ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ঘর করে দেওয়ার বিশ্বে একটি বিরল ইতিহাস। অন্যের বাড়িতে ও রাস্তার পাশে ঝুঁপড়ি ঘরে, স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা, দিনমজুর, ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রধিকার দেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর সদস্যদের আয় সংস্থানমূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে সক্ষম করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, দক্ষতা অর্জন এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’

স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ ধনু জানান, এ উদ্যোগটি বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বিশ্বের ইতিহাসে নতুন সংযোজন। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে এরচেয়ে বড় অর্জন আর হতে পারেনা।

Print Friendly, PDF & Email