নৌকা পাগল পিন্টুকে আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে চাই ভালুকাবাসী
প্রকাশিতঃ ১:১৪ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ০৯, ২০২২
জাহিদুল ইসলাম খান, বিশেষ প্রতিবেদকঃ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা শিল্প সমৃদ্ধ উর্বর উপজেলা হিসাবে পরিচিত বরাবরই। নৌকা তথা আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত এই উপজেলায়। মুক্তিযুদ্ধের ঘাঁটি এই উপজেলা। পাশাপাশি রাজাকারের একটি বৃহৎ গোষ্ঠী এই উপজেলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বাধীনতার পর পরই।১৯৯৬সালের আগ পর্যন্ত তাদের হাতেই ছিলো এই উপজেলার নেতৃত্ব। ১৯৯৬ সালে বিএনপির হাত থেকে এই আসনটি পূর্ণরুদ্ধার করেন প্রয়াত সাংসদ এম আমানউল্লাহ। তারপর হতে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাতে এই আসনটি।
২০০৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে ভালুকায় প্রয়াত সাংসদ এম আমানউল্লাহকে সভাপতি ও গোলাম মোস্তফাকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা করা হয়। অদ্যবধি এই কমিটিই আছেন৷ সাবেক সাংসদ এম আমানউল্লাহ মৃত্যুর পর সিনিয়র সহ সভাপতি এ্যাড. শওকত আলীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে বর্তমান সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ঈদের পর এই উপজেলায় সম্মেলনে হতে পারে। সেই খবরে উপজেলা জুরে এখন সম্মেলনের খবর ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। উপজেলাজুরে আলোচনা কে হচ্ছেন পরবর্তী সভাপতি ও সম্পাদক। তূণমূলের অনেকের কাছে জানতে চাইলে কাকে চাচ্ছেন আপনারা। সবারই এক কথা প্রবীন ও নবীন মিলে কমিটি করলে ভাল হবে। দল হবে সুসংগঠিত এবং সামনের নির্বাচন সহ বিরোধী দলের যে কোন কর্মসূচী মোকাবিলা করার জন্য শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে হবে। সভাপতির চেয়ে সবারই আলোচনা কে হচ্ছেন পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই চাচ্ছে আসন্ন সম্মেলনে তরুন নেতৃত্ব, দুইবারের ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক, সাবেক ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম পিন্টুকে।
তৃণমূলের নেতারা মনে করেন সৎ,শিক্ষিত,তরুন ও কর্মী প্রেমী, নৌকা পাগল রফিকুল ইসলাম পিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করা হলে দল হবে সুসংগঠিত। যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত পিন্টু দলকে এগিয়ে নিতে পারবে।
ভালুকা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সুমন বলেন, পিন্টু’র এক নোটিশে ভালুকায় সব সময় লোকে লোকারন্য হয়ে যায়। আমরা দেখেছি পিন্টু চাইলে যে কোন মূহুর্তে ভালুকায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল মিটিং করতে পারে। তার আছে ব্যক্তিগত ক্লিন ইমেজ। জমি দখল বা কালো টাকা এখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে নাই। দুইবার ভাইস চেয়ারম্যান এর নির্বাচন করছে বিপুল ভোটে পাশ করেছে। সারা বাংলাদেশে ভোটের ব্যবধান দ্বিতীয় হয়েছেন।তার সাথে সাত আটজন নির্বাচন করেছেন। সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ক্লিন ইমেজের পিন্টুকে ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হলে দলের ইমেজেও ঠিক থাকবে। দলও সুসংগঠিত হবে।
রফিকুল ইসলাম পিন্টু বলেন, আমি কখনও নৌকা তথা আওয়ামী লীগের সার্থে সুবিধাবাদীদের সাথে কখনও কোন কম্পোমাইজ করিনি। যার কারণে বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতা থাকার সময় হত্যা ও চুরির মিথ্যা মামলা দায়ে ২বছর কারাবাস থাকতে হয়েছে। দলের প্রয়োজনে যখনই আমাকে ডাকে আমি সব সময় প্রস্তুত থাকি। বিগত উপজেলা পরিষদ, সংসদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। এটা আমার মুখের কথা নয় আপনারা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ও ভালুকায় জরিপ চালালে দেখতে পারবেন। মমতাময়ী মা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা যদি আমাকে ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়, জীবন দিয়ে হলেও হাইব্রিড ও নব্য আওয়ামী লীগার বাদ দিয়ে দলের ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীদের নিয়ে নবীন প্রবীণ সমন্বয়ে ভালুকায় একটি মডেল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবো।


