শ্রীপুরে প্রতারনার মাধ্যমে শতবর্ষী বৃদ্ধের জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশিতঃ ৪:৩৪ অপরাহ্ণ | মে ২৫, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক, ভালুকার খবরঃ- গাজিপুরের শ্রীপুরে ১২০ উর্ধ্ব এক বৃদ্ধের কাছ থেকে চিকিৎসার কথা বলে প্রতারনার মাধ্যমে ২১ শতক জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তারই ছোট ছেলে, আ: রশিদের মেয়ের জামাই ও আরেক নাতিন জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আবদার গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিন শেকের ছেলে ১২০ বছর বয়স্ক মুনছুর আলী শেকের সাথে।
এ ঘটনায় গাজিপুর বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরেজমিন ও মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায় শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের হাজ্বী মুনসুর আলী শেক (১২০) বার্ধক্যজনিত কারনে নানান সময় অসুস্থ থাকতেন। তারই সুযোগে তার ছোট ছেলে আঃ রশিদ, আঃ রশিদের মেয়ের জামাতা জুয়েল আহাম্মেদ, এবং মুনসুর আলী শেকের আরেক ছেলে আবু সাইদের মেয়ের জামাতা মো. ইলিয়াস মিয়া পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মুনসুর আলীর হাটুর ব্যাথা অপসারনে চিকিৎসার জন্য অপারেশন করার কথা বলে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরে অপারেশনের জন্য বনসহি লাগবে বলে হাজ্বী মুনসুর আলী শেকের কাছ থেকে দলিলে স্বাক্ষর নেয়। এদিকে হাজ্বী মনসুর আলীর ভাড়া দেয়া ১০টি রুম থেকে ভাড়া উত্তোলন করতে গেলে রশিদ গংরা বাধা প্রদান করে। হাজ্বী মুনসুর আলী বাধা প্রদানের কারন জানতে চাইলে আঃ রশিদ বলেন আপনি আমাকে ঘর সহ এই জমি লিখে দিয়েছেন। তাই আজ থেকে এই জমি এবং ১০টি রুম আমাদের। এসময় রশিদ তার কাছে ভাড়া প্রদান করার জন্য ভাড়াটিয়াদের চাপ প্রয়োগ করে।
এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে গাজিপুর ১ম বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন হাজ্বী মুনছুর আলী। মামলা নং-১৭০/২২। এবং গাজিপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-১এ একটি প্রতারনার মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৬১৩/২২। এদিকে অভিযোক্ত আঃ রশিদ বলেন, আমার বাবা আমার নামে জমি লিখে দিয়েছেন তাই আমি নিয়েছি।


