ভালুকায় বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টকর্মী
প্রকাশিতঃ ৩:৪৮ অপরাহ্ণ | জুলাই ০৬, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ভালুকার খবর: ভালুকায় বেড়াতে গিয়ে দিন-দুপুরে এক গার্মেন্টকর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপরে উপজেলার দক্ষিন হবিরবাড়ী এলাকার বিট অফিস সংলগ্ল জঙ্গলে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই গার্মেন্টকর্মীর মা বাদি হয়ে বুধবার রাতে স্থানীয় আল আমীন (২৭), জিয়াদ(১৮), মাসুম(১৯) ও ইয়াছিনের (১৮) নাম উল্লেখ করে ভালুকা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত মামলার এক নম্বর আসামী আল আমীন (২৭) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার দক্ষিন হবিরবাড়ি এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নেত্রকোনা জেলার মহনগঞ্জ উপজেলার ধর্ষণের শিকার ওই গার্মেন্টকর্মী তার মা-বাবাসহ দীর্ঘদিন যাবত হবিরবাড়ির সাদ-সান মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। গ্রামের বাড়ি থেকে চাকুরীর সন্ধানে আসা ১৩ বছরের এক মামাতো বোন ও একই বয়সের এক খালাতো ভাইকে সাথে নিয়ে বুধবার দুপুরে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বের হয়। রাস্তায় স্থানীয় ৪ যুবক তাদের ভূল রাস্তা দেখিয়ে একটি জঙ্গলের ভিতর নিয়ে তিনজনের হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে ওই গার্মেন্টকর্মীকে গহীন জঙ্গলে নিয়ে ৩যুবকের সহযোগীতায় ধর্ষণ করে আল-আমিন নামের এক যুবক। এ সময় গার্মেন্টকর্মীর চিৎকারে স্থানীয় এক মহিলা বনে লাকড়ি কুড়াতে এসে ঘটনাটি টের পায়। পরে তিনি কয়েকজনের সহযোগীতায় বিবস্ত্র ও প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ওই গার্মেন্টকর্মীকে মজনু মিয়া নামের স্থানীয় এক কৃষকের বাড়ী নিয়ে যান। ওই গার্মেন্টকর্মী কিছুটা সুস্থ্য হলে মজনু মিয়া ৯৯৯ এ ফোন করে ভালুকা মডেল থানায় বিষয়টি অবহিত করেন। এ সময় আল আমীন নামের এক যুবক মজনু মিয়াকে ডেকে নিয়ে ধর্ষনর ঘটনাটি ধামাচাপার জন্য টাকার প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি মজনু মিয়া বুঝতে পেরে উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় আল আমীনকে আটক করে ধর্ষিতাসহ পুলিশে সোপর্দ করেন।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘ভূক্তভোগি ওই গার্মেন্টসকর্মীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগির মা বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামী আল-আমীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’