|

ভালুকায় বেহাল সড়ক, পুরাতন ব্রিজের সংযোগ সড়কও ঝুঁকিপূর্ণ

প্রকাশিতঃ ৯:২৭ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২৫, ২০২৫


নিজস্ব প্রতিবেদক:

য়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গজারী খালের উপর নির্মিত একটি পুরাতন সেতুর সংযোগ সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যে কোনো সময় ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের প্রাণহানি বা শিল্প কার্যক্রমে বিপর্যয়। তাছাড়া এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এই সড়ক ও সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো শ্রমিক যাতায়াত করেন এবং দেশের অন্যতম বৃহৎ পোশাক কারখানার মালামাল পরিবহন হয়।
প্রবাহমান গজারী খালের উপর নির্মিত সেতুটি বহু বছর আগে নির্মিত হলেও দীর্ঘদিন ধরে এর সংযোগ সড়কটি অবহেলিত থেকে গেছে। সম্প্রতি সড়কের একাংশ ধসে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে শ্রমিকদের চলাচলের পাশাপাশি যানবাহন চলাচলেও অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে।
এই সড়ক দিয়েই চলাচল করেন দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ ডিবিএল গ্রুপের গ্লোরি টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেডের কয়েক হাজার শ্রমিক। এছাড়া এই পথ দিয়েই প্রতিদিন মালামাল দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে এবং বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। সড়কে বড় বড় গর্ত থাকার কারণে যান চলাচলে বেশ অসুবিধা হয়। তাছাড়া ছোট বড় দূর্ঘটনা প্রায়ই লেগে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন,“আমরা অনেকবার পৌরসভাকে জানিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এখন পুরো ব্রিজটাই ভাঙার মতো অবস্থা। রাস্তা দিয়ে তো চলাচলই করা যায়না”
শ্রমিক সুরজান আক্তার বলেন, “আমরা প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কাজে যাই, ব্রিজের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। গোটা সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত হওয়ায় দুর্ঘটনা তো লেগেই আছে।”
গ্লোরি টেক্সটাইল কারখানার কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন,“এই ব্রিজ ভেঙে গেলে আমাদের পুরো উৎপাদন ও রপ্তানি কার্যক্রমই থেমে যাবে। এতে কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। এটি শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের সমস্যা না, পুরো দেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
এই প্রসঙ্গে ভালুকা পৌর প্রশাসক মো. ইকবাল হোসাইন সাংবাদিকদের জানান,“আমরা ইতোমধ্যেই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। এটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই ব্রিজের সংযোগ সড়ক সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন,“শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থে যেকোনো অবকাঠামো সমস্যা সমাধানে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।”
এ অবস্থায় স্থানীয় জনগণ ও কারখানা সংশ্লিষ্টরা দ্রুত সড়কটির মেরামতকাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন, যাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা শিল্পক্ষতি এড়ানো যায়।

Print Friendly, PDF & Email