প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি
প্রকাশিতঃ ১১:৫৮ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
মো. মোকাদ্দেছ উর রহমান:
একবিংশ শতাব্দীর দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসাবেও শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানোর কোন বিকল্প নেই। আধুনিক শিক্ষা বিজ্ঞানের প্রত্যাশা পূরনের ক্ষেত্রে প্রধান ও শক্তিশালী হাতিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি।
শিক্ষা মূল ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। এ শিক্ষাকে যদি মজবুত ও আনন্দদায়ক করা যায়, তবে উচ্চ স্তরের শিক্ষা নিয়ে আর ভাবতে হবে না। শিক্ষাকে আনন্দদায়ক ও চিত্তাকর্ষণ করতে তথ্যপ্রযুক্তির বিকল্প নাই। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিগত দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলমান ❝প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি ❞র নানা উদ্যোগ চলমান যার মধ্যে অন্যতম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দক্ষ ict শিক্ষক তৈরী ও ডিজিটাল ক্লাসরুম স্হাপন করে ডিজিটাল কন্টেন্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে পাঠদান।
শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি করা সম্ভব। এটু আই এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১০ সাল থেকে শিক্ষকদের ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।
প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টের সরবরাহ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লাস উপস্থাপন করে বলে তাদের আর দীর্ঘ সময় ব্যাপী পাঠ পরিকল্পনা প্রনয়ণ করার বাড়িতি চাপ নিতে হয় না। ইতোমধ্যে প্রি – প্রাইমারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সকল বইয়ের ই- বুক বানানোর কার্যক্রম শেষ হয়েছে যা প্রতিটি বিদ্যালয় পাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মুখস্থ করার প্রবণতা থেকে দূরে রাখে পাশাপাশি তাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে। নতুন শিক্ষানীতি আমাদের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ব্যবস্থায় বড় রকমের যে পরিবর্তন করতে চলছে তার সঠিক বাস্তবায়নে দরকার তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদ্যালয় মনিটরিং ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি এনে দিতে পারে ব্যাপক সাফল্য। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে যেহেতু ধারাবাহিক মূল্যায়ন বেশি, তাই প্রাথমিক শিক্ষায় আরো বেশি তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ এমডিজি অর্জনে প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে ব্যাপক সাফল্য নিশ্চিত করেছে। এ সাফল্য ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের প্রাথমিকে শিক্ষার সাথেও জড়িত সকলের।
লেখকঃ সহকারী শিক্ষক,
ভালুকা, ময়মনসিংহ।


