নেত্রকোনায় ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণে বোরো ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা
প্রকাশিতঃ ১:১২ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ০৬, ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্টঃ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নের ১৭হাজার ৭শ হেক্টর জমির বেশির ভাগ বোরো ধানই ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় কৃষকরা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বিস্তীর্ন জমির ধান গাছের ৫০% থোড় (শীষ) বেরিয়ে যাওয়ার ফলে অধিকাংশ শিষে নেকব্লাস্ট রোগে ধানক্ষেত নষ্ট হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এল এম রেজওয়ান ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই কৃষক সমাবেশ সহ মাঠে কাজ করে যাচ্ছি এবং নেকব্লাস্ট রোগ যাতে বিনষ্ট হয় তার জন্য ‘‘সেলটিমা’’ নামক ঔষধ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছি। চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় বোর ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৭হাজার ৭শ হেক্টর জমি। আর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৮ হাজার ৫শত মেট্রিক টন। হঠাৎ করে ছত্রাক জাতীয় নেকব্লাস্ট রোগের সংক্রামণে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার পৌরসভাসহ গাঁওকান্দিয়া, কাকৈরগড়া, বাকলজোড়া, কুল্লাগড়া, চন্ডিগড়, দুর্গাপুর সদর ও বিরিশিরি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠের জমিতে ধানের থোড় (শীষ) শুকিয়ে যাচ্ছে। দুর থেকে দেখে মনে হচ্ছে ধান পেকে গেছে। কাছে গিয়ে ধানের শীষ হাতে নিয়ে দেখা গেছে ধান সব চিটা। এ গ্রাম গুলোর কৃষকরা বলেন, বোরো মৌসুমে ধান চাষ করি পরিবারের বছরের খাদ্য মওজুদ করা এবং বিক্রি করে ঋণ শোধ দেবার জন্য। আমাদের সব শেষ। ধানের জমিতে গিয়ে দেখি শীষের নিচের অংশে কালো হয়ে পচে গেছে। আর উপরের শীষ শুকিয়ে গেছে। সম্পূর্ণ শীষ চিটে হয়ে গেছে। ধান না হলে আমরা মাঠে মারা যাবো। দুর্গাপুর পৌর শহরের কীটনাশক ব্যবসায়ি রায় স্টোরের স্বত্বাধিকারী নারায়ন রায় বলেন, নেকব্লাস্ট রোগের জন্য কৃষি অফিস থেকে সেতু পেস্টিসাইড লিমিটেডের পাইরাপ্লোরোস্টোবিন ১০% (সিএফ ফরমোলেশন) ‘‘সেলটিমা’’ নামক একমাত্র ঔষধ ব্যবহার করার পরমর্শ দিচ্ছেন।