|

নরক যাত্রার অপর নাম ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সড়ক

প্রকাশিতঃ ৫:২০ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ১০, ২০১৮

ত্রিশাল প্রতিনিধি: সড়ক থাকে পিচঢালা, মসৃণ। মানুষের যাতায়াতকে করে সহজ। কিন্তু সড়ক যখন ভাগাড়ের মতো গর্তে ভরা থাকে তখন যাতায়াতে পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। মসৃণ সড়কের বদলে খানাখন্দে ভাগাড় সৃষ্টি হওয়া সড়ক দিয়েই চলাচল করছে মানুষ। বেহাল এ অবস্থায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার সংযোগ সড়কের। সবমিলিয়ে এই রাস্তার  যাত্রাকে একরকম নরক যাত্রাও বলা যায়।
ত্রিশাল উপজেলার বৈলর মোর থেকে ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। এই বিশ কিলোমিটার সড়ক সংষ্কার ও রক্ষানাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। ত্রিশালের বৈলর মোড় থেকে ফুলবাড়িয়া উপজেলার সীমানা শুরু হওয়া পর্যন্ত সড়কটির প্রায় ৬ কিলোমিটার ত্রিশাল উপজেলার অংশে পড়েছে। এই ৬ কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য খানাখন্দে পানি জমে এমনই খারাপ অবস্থা হয়েছে যে এটি সড়ক তাই বুঝার উপায় নেই। সড়কটি ভাগাড়ে রুপ নিয়েছে।

সরেজমিন সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, ৬ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দ ছাড়া ভালো অংশের পরিমাণ খুবই কম। তুই ত্রিশাল ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার মানুষ চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন। অঞ্চলটিতে মৎস্য খামারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মাছবাহী ট্রাক প্রায়ই আটকে যায় সড়কে সৃষ্ট গর্তে। চলাচল কারী, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ অন্যন্যা যাত্রী ও পণ্যবাহী যান গুলোকেও চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। খানাখন্দে যানবাহন আটকে যাওয়া হাটুসম কাঁদায় নেমে যানটে ঠেলে ভালো স্থানে তুলতে হয়। দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটির ওই অবস্থায় বিদ্যমান থাকলেও এটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষ উদাসীন।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, অঞ্চলটিকে মৎস্য খামারের সংখ্যা বেশি। আর অধিকাংশ মৎস্য খামার করা হয়েছে অপরিকল্পিত ভাবে। পুকুরের পার হিসেবে সড়ককে ব্যবহার করায় সড়ক দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সড়কের পাশে পুকুর খননে নির্দষ্ট দূরত্ব বজায়া রাখার কথা থাকলেও যত্রযত্র মৎস্য খামার করা হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। ফলে সড়কের অবস্থা ভাগাড়ের মতো হয়েছে।
ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী শাহেদ হোসেন বলেন, সড়কটি দিয়ে ৬ টনের বেশি ভারী যানবাহন চলা নিষেধ থাকলেও চলাচলকারী মাছবাহী ট্রাকগুলোর বেশির ভাগই ২৫ থেকে ৩০ টন পর্যন্ত ভার বহন করে। ফলে সড়কটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি বলেন, সড়কটি মজবুত করে নির্মাণের প্রস্তাব পাস হয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নির্মাণকাজ শুরু করতে কিছু সময় লাগতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email