|

বাস ও ট্রেনে বেড়েছে হিজড়াদের উৎপাত

প্রকাশিতঃ ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ | জুন ১১, ২০১৮

সাখাওয়াত হোসেন সুমন:

ট্রেন-বাসে হিজড়াদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে যাত্রীরা। আগে বাসা-বাড়িতে দল বেঁধে টাকা তুলতে গেলেও এখন ট্রেন-পরিবহনে দল বেঁধে টাকা তুলছে হিজড়ারা। এতে নানা রকম বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের।
দল বেঁধে ওঠে সামনে ও পেছন দিক থেকে ইচ্ছামতো টাকা দাবি করে তারা। কেউ টাকা না দিলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয় এবং কি মাঝেমাঝে এমন অঙ্গ-বঙ্গী পদর্শন কওে যা সত্যিই লজ্জাজনক। যা মান-সম্মানের হানীকর। মান-সম্মান যাওয়ার ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হতে হয় যাত্রীদের। বাদ যায় না ছাত্র, বৃদ্ধরাও।
সরেজমিন দেখা গেছে, ময়মনসিংহ রেলস্টেশন থেকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন ট্রেনে হিজড়ারা ওঠে দুই দিক থেকে যাত্রীদের কাছে টাকা দাবি করে। কেউ টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করে যাত্রীদের। সংশ্লিষ্ট ট্রেনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জিআরপি পুলিশ তা দেখে না দেখার ভান করে।তাদের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেন না তারা।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন রোড়ে চলাচলরত গণপরিবহনে হিজড়ারা দল বেঁধে ওঠে যাত্রীদের কাছে একপ্রকার জোরপূর্বক টাকা দাবি করছে।কেউ তাদের নিয়ে কোনো কথা বললে সাথে সাথে নাজেহাল হতে হয়। আবার কেউ টাকা দিতে দেরি করলে টাকার পরিমাণ বেড়ে যায়। তারা এমন আচরণ করে যাত্রাপথে বাবা-মা থাকলে লজ্জায় মাথা হেড হয়ে যায়।

যাত্রীদের অভিযোগ, হিজড়াদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। মনে হয় তারা সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে টাকা উঠাচ্ছে। টাকার চেয়ে মান-সম্মান বড়, তাই তাদের টাকা দিয়েই বিদায় করতে হচ্ছে। ওদের সঙ্গে কথা বলারও সুযোগ নেই। টাকা দিতে অস্বীকার করলেই বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে, এমনকি শরীরেও হাত দেয়।

অবশ্য হিজড়াদের ভয়ে অনেক যাত্রী সেই গাড়িতেই উঠেন না।কিন্তু ট্রেনে তো না গিয়ে উপায় নেই।তাকে যে গন্তব্যে পৌঁছতেই হবে। ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, উপায় নেই, ধরলেই টাকা দিতে হয়। আর না দিলে মান-সম্মান যাবে। হিজড়াদের এমন আচরণ জিআরপি পুলিশ দেখলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না।অভিযোগ করলেও পাত্তা দেয় না।তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিতে হয়।

Print Friendly, PDF & Email