|

মানুষ আজ ‘অমানুষ’ হয়ে লুটেরা

প্রকাশিতঃ ১১:৩৫ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ২২, ২০১৯

মো. আনোয়ার হোসেন তরফদার:

আমরা মানুষ হিসেবে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব । শুধু এই কারনেই শ্রেষ্ঠ যে, আমাদের বিবেক আছে, বুদ্ধি আছে । আর সেটা যদি না থাকে তাহলেই তো আমরা অমানুষ। আসলে আমাদের নৈতিকতা আজ নির্বাসনে। নেই কোন নীতিমান কাজ, আর নৈতিকতা হলো মানুষ তার বিবেক বুদ্ধি উত্তম গুনাবলী ও বৈশিষ্ট্যের দ্বারা সমাদৃত হয়।

আজকে আমাদের লাল সবুজ পতাকা বাহী যে দেশ বীর মুক্তিযুদ্ধারা স্বাধীন করেছেন তা তো একদিনে হয়নাই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর জীবনের প্রায় সময়টুকু ব্যয় করেছেন আজকের এই ‘বাংলাদেশ’ নামক দেশটির জন্য। কিন্তু আমরা এমন জাতি তাকে বাঁচতে দিলাম না, যে মানুষটির স্বপ্ন ছিল এই দেশটাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলা, যেখানে থাকবেনা কোন ধর্মীয় সংঘাত, যেখানে থাকবেনা কোন লুটেরা, যেখানে থাকবেনা দুর্নীতিবাজরা সন্ত্রাসীরা। থাকবে না কোন হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি। কিন্তু সেই কাজটুকু করতে পারলেননা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

শুধু মাত্র অসৎ লোকেদের জন্য, আর তাঁর অসীম বিশ্বাসের কারনেই অকালে শহীদ হতে হয়েছিল স্বপরিবারে। শুধু দেশের বাহিরে থাকার কারনে বেঁচে ছিল শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। বঙ্গবন্ধু কে হত্যার পরে লুটেরা দেশ দখল করে নিয়ে যায়, এবং তাদের নুংড়া স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে শুরু করে। কিন্তু সেটা তারা ভালো ভাবে করতে পারেনি, কারন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বেঁচে ছিল তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনা। সে হাল ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবং জনগনের ভালবাসা নিয়ে দীর্ঘদিন পরে হলেও এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। আজকে যখন শেখ হাসিনা দেশটাকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন রাতদিন। ঠিক সে সময় কিছু দুষ্ট লোক বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কিছু দায়িত্ববান লোক কথা বলছেন লাগাম ছাড়া ভাবে, আসল ত্যাগী নেতাদের মাঝে চলছে চাপা অভিমান। কিছু সাংসদ বিএনপির লোক কে প্রতিষ্ঠিত করে চলেছেন হরহামেশাই। আসলে তাদের ভিতর শুধু কাজ করছে অর্থের লোভ। নৈতিকতা কে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছেন তারা ।

একা কি করবেন শেখ হাসিনা? ঘরের শত্রু বিভীষণ আসলে সোনার বাংলায় হচ্ছে কি? শিক্ষক ধর্ষণ করে ছাত্রী কে, শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না ধর্ষ,কদের হাত থেকে।

জেলা প্রশাসকের অফিস হয় বালাখানা। আমলারা বালীশ কান্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে , চামড়া শিল্প কে ধ্বংস করে দিয়েছেন কিছু অসাধু কালো ব্যবসায়ীরা। স্পিনিং মিলের দেশি সুতা গুলো ধ্বংস করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে দিনরাত। সিন্ডিকেট যারা করে আর গুজব যারা ছড়ায় তারা মাঠে বেশ সক্রিয়। তাদের ইচ্ছে হলো দেশ যেন ভালো ভাবে না চলে। আর রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা যেন দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়। সম্প্রীতি পেঁয়াজ ৩০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় নিয়ে গেছে। সেটা থেকে বের হতে না হতেই গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে লবন নাকি দেশে নাই আসলে কি হচ্ছে কারা এসব করে চলেছেন তাদের খুঁজে এখনি বের করতে হবে। লাগাম টানতে হবে দুর্নীতিবাজদের। বিচারের আওতায় আনতে হবে ৷ অতি দ্রুতই এদের বিষ দাঁত উপরে দিতে হবে বাংলার মাটি থেকে।

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সোনার বাংলা গড়তে চেযেছিলেন বলেই তাকে নরপিশাচরা হত্যা করেছিল, আজকে তার মেয়ে যখন বাবার স্বপ্ন পুরন করতে চলেছে ঠিক সেই সময়ই লুটরা দুর্নীতিবাজরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

আসুন আমরা সোচ্চার হই, প্রতিবাদী হই, অন্যায় দেখলে প্রতিহত করি, তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পুরন হবে ইনশাআল্লাহ।

লেখক: শিক্ষক, ভালুকা ত্রিশাল মৈত্রি ডিগ্রী কলেজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ভালুকা উপজেলা শাখা।

Print Friendly, PDF & Email