|

ভালুকায় একটি সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা?

প্রকাশিতঃ ১:৪২ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ২২, ২০১৮

প্রভাষক আনোয়ার হোসেন তরফদার: ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী, ডাকাতিয়া ও মল্লিকবাড়ী তিন  ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া খিরু নদীর ভয়রাটেক ঘাট। ঘাটের দু’পাশে বসবাসরত হাজার হাজার মানুষ একটি ব্রিজের জন্য বছরের পর বছর আশায় বুক বেঁধে থাকলেও তাদের দুঃখ-দুর্দশার দিকে আজ পর্যন্ত কেউ ফিরে তাকায়নি।জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসের দিন যেন আর শেষ হয়না।
শত বছর ধরে নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলছে তাদের যাতায়াত আর বর্ষায় একমাত্র অবলম্বন নৌকা। এর বাইরে কোনো মহিলার প্রসব বেদনা দেখা দিলে কিম্বা জরুরি প্রয়োজনে কাউকে হাসপাতালে নিতে হলে তাকে কোলে করে নদী পার করতে হয়। নদীর এপারে গ্রামগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ধান ও সবিজ উৎপাদন করে স্থানীয় কৃষকরা। কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় তারা ন্যায্যমূল্য পায় না তারা। বহু কষ্টে ওপারের প্রসিদ্ধ বাজার মল্লিকবাড়ীতে এনে এসব পণ্য বিক্রি করতে হয়। নদীর ওপারে দুইটি হাইস্কুল, একটি কলেজ তিনটি দাখিল মাদ্রাসা ও একটি মহিলা মাদ্রাসা থাকায় প্রতিদিন শত শত ছাত্র-ছাত্রী বহু কষ্টে নদী পার হয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঘাটের দু’পাশের লোকের যেন প্রতিদিন পারাপার হতে যুদ্ধে লিপ্ত হতে হয়। একটু বৃষ্টি হলে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। কাঁদামাটি যেন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। ভয়রাটেকের ওই ব্রিজটি নির্মাণ হলে দুই পারের হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। ওই এলাকার প্রতিটি লোকের এখন একটাই দাবি অনতিবিলম্বে উক্ত স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হোক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিন ইউনিয়নের লোকজনসহ ভুক্তভোগীরা।
Print Friendly, PDF & Email