|

বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা, স্বাধীনতা মানে বঙ্গবন্ধু

প্রকাশিতঃ ৪:৪৭ অপরাহ্ণ | মে ২৩, ২০১৮

প্রভাষক আনোয়ার হোসেন তরফদার:

রক্ত দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে দীর্ঘ সংগ্রামের অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন যে মানুষটা তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালির মাথার মুকুট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সংগ্রামী জীবনের শ্রেষ্ঠ ফসল আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। ইতিহাস থেকে যতই বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে, ইতিহাস আপন নিয়মে তাঁকে আরো মর্যাদাবান মহীয়ান করে তুলেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে জাতির পিতা হিসাবে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি অল্প অল্প করে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দান করে তিনি চলে আসেন শীর্ষস্হানে। একটি রাষ্ট্রের জনক হিসেবে তাঁকে ভূষিত করা হয়েছে ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, দেশটাকে নিয়ে অনেকে স্বপ্ন দেখেছেন কিন্তুু কেহ পারে নাই এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে শেখ মুজিবুর রহমান। এ দেশের স্বাধীকার সংগ্রাম ও স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনি জীবনের দীর্ঘ সময় জেলের অন্ধকারে কাটিয়েছেন মৃত্যুপথ থেকে ফিরে এসেছেন বারবার কিন্তুু  কোন ষড়যন্ত্র পিতা মুজীব কে মানুষের ভালবাসার কাছে পরাভূত হয়েছে। দেশ ভাগের পর তিনি ধীরে ধীরে তরুনদের সংগঠিত করতে থাকেন, ছাএলীগও আওয়ামী লীগ গঠনে পালন করেন প্রত্যক্ষ ভূমিকা ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেন ১৯৫৪সালের যুক্তফ্রন্ট গঠনে বিশেষ অবদান রাখেন তিনি ১৯৬৬ সালে ছয়দফা কর্মসূচির মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এটা ছিল বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ। ১৯৬৯ সালে গণ অভ্যুত্থানের সময় সকল বাঙালির ভালবাসায় তিনি “বঙ্গবন্ধু” উপাদিতে ভূষিত হন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হিসাবে পরিগনিত হন। তাঁর দল আ,লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ১৯৭১ সালে র৭ মার্চ তিনি যে ভাষন দিয়েছিলেন তা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষন। তার মত নেতা আর আসবেনা পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে জাতীর জনকের অবদান অতুলনীয়, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে পৃথিবীর বুকে জাতির জনক হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

লেখক: প্রকাশক, ভালুকার খবর ও প্রভাষক, ভালুকা-ত্রিশাল মৈত্রী ডিগ্রী কলেজ।

Print Friendly, PDF & Email