|

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুক্তা ঘুমন্ত সিংহের প্রতিকৃতি

প্রকাশিতঃ ২:২৭ পূর্বাহ্ণ | মে ২৯, ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট, ভালুকার খবর: প্রথমে দেখলে যে কারোরই চোখে একটু লাগবে, সাদারঙের কিসের যেন একটা পিন্ড। কিন্তু একটু ভালো করে লক্ষ করলেই বোঝা যাবে, ঘুমন্ত এক সিংহের প্রতিকৃতি এটি। বলা হচ্ছে, মিঠা পানিতে জন্ম নেওয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুক্তা ‘দ্য স্লিপিং লায়ন’র কথা। বিশ্বের বৃহত্তম এই মুক্তাটি ২.৭ ইঞ্চি লম্বা। মুক্তাটির ওজন ১২০ গ্রাম বা ৪ আউন্সের মতো।
৩০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী এই ‘ঘুমন্ত সিংহ’। কলোনি যুগের বণিক, জুয়েলার্স থেকে শুরু করে ইউরোপিয়ান রাজপরিবারের হাতে ঘুরেছে এই ঘুমন্ত সিংহ। রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী অন্যতম সফল শাসক ক্যাথারিন দি গ্রেটের কাছেও গিয়েছিল মুক্তাটি। ৩০০ বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ সেই ঘুমন্ত সিংহ মুক্তাটি আগামী সপ্তাহে নেদারল্যান্ডসে নিলামে উঠতে যাচ্ছে। ৩১ মে নেদারল্যান্ডসের হেগে’র ভেনদুয়েহুইস অকশন হাউজে এটির সম্ভাব্য দাম অনুমান করা হচ্ছে ৬ লাখ ৩২ হাজার ডলার।
অকশন হাউজ ভেনদুয়েহুইসের তথ্য অনুযায়ী, ১৭০০ সাল থেকে ১৭৬০ সালের মধ্যে কোনো এক সময়ে ঘুমন্ত সিংহ মুক্তাটি চীনে পাওয়া গিয়েছিল। এটি আবিষ্কার হওয়ার পর বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ীর হাত ঘুরে এটি একজন ডাচ ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছে। এরপর সেটি তার মাধ্যমে বাতাভিয়ায় বর্তমান (জাকার্তা) আনা হয়। চীনের তত্কালীন শাসক কিয়াঙলঙ এই মুক্তাটি যাতে দেশের বাইরে না যেতে পারে সেজন্য কড়াকড়ি আরোপ করলেও তা সম্ভব হয়নি। ডাচ ব্যবসায়ীর হাত ধরে সেটি পৌঁছে যায় ইউরোপে। ঐ সময়ে এটির মালিক (ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যবসায়ী) মৃত্যুর পর ১৭৭৮ সালে আমস্টারডামে প্রথমবারের মতো নিলামে উঠানো হয় মুক্তাটি। ঐ সময়ে এটি রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী ক্যাথারিন দি গ্রেটের পক্ষে কেনা হয়।
১৮০০ সালের দিকে এটি এক জুয়েলারির মাধ্যমে পোল্যান্ডে আসে। এরপর তা সংযুক্ত ইতালির প্রথম রাজা ভিক্টর ইমানুয়েল-২ এটি কিনে নেয়। কালক্রমে তা ইউরোপের অনেক বণিক এবং জুয়েলারি ব্যবসায়ীর হাতে ঘুরেছে। ১৯১৭ সালে রাশিয়ার বিপ্লবের সময় তা নেদারল্যান্ডসে ফিরে আসে। আর ১৯৭৯ সালে এটির বর্তমান মালিক আমস্টারডাম পার্ল সোসাইটি তা কিনে নেয়। ৩০০ বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ হওয়া ছাড়াও মুক্তাটির বিশেষত্ব হলো এটির গঠন। প্রাকৃতিকভাবেই এটি দেখতে ঘুমন্ত সিংহের মতো।-সিএনএন
Print Friendly, PDF & Email